পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শিওরক্যাশের মাধ্যমে ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়ার প্রকল্প উদ্বোধন হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন যার মাধ্যমে এক কোটি মায়ের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা পৌঁছে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ইতিহাসে এটি সর্ববৃহৎ লেনদেন।
বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে মাসিক ১শ’ টাকা হারে উপবৃত্তি দিচ্ছে। টাকা দেয়া হয় শিক্ষার্থীর মাকে। এ জন্য মায়েদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়। প্রতিবার টাকা দেয়ার জন্য কোনো এলাকার পাঁচ-ছয়টি স্কুলকে নিয়ে একটি বিতরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়। নির্ধারিত দিনে ব্যাগে করে টাকা নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে প্রশাসনের নজরদারিতে বিতরণ করেন। মায়েরা দূর-দূরান্ত থেকে নানা ভোগান্তি সহ্য করে এসে টাকা নিয়ে যান। যা পান তার অনেকটা খরচ হয়ে যায় আসা-যাওয়ায়। আয়োজনের বিড়ম্বনার জন্য প্রতি মাসে এ টাকা না দিয়ে কয়েক মাস পরপর দিয়ে আসছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
উপবৃত্তির টাকা নিতে এ ভোগান্তি দূর করতে উদ্যোগ নেয় সরকার। সিদ্ধান্ত নেয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের কাছে অর্থ পৌঁছে দেয়ার। সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে রূপালী ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস আছে শুধু এই ব্যাংকটিতেই। কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় সুবিধাভোগী এক কোটি মায়ের হিসাব খোলা হয়। আগামীকাল পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের মোবাইল হিসাবে টাকা পাঠানোর মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। একই দিনে ৯১টি উপজেলার সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে। ক্রমন্বয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বাকিদের হিসাবেও পৌঁছে যাবে উপবৃত্তির টাকা। এসব তথ্য জানিয়েছেন রূপালী ব্যাংকের আইসিটি সিস্টেম বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এম.এম রেজাউল করিম।
এই সর্ববৃহৎ ডিজিটাল লেনদেন প্রসঙ্গে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আতাউর রহমান প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট সাফল্য। প্রধানমন্ত্রীর যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন তা এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকাংশেই পূরণ হবে। আমরা ধন্য এ ধরনের একটি প্রকল্পে সংযুক্ত হতে পেরে।”
“বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের প্রতিটি পদক্ষেপে রূপালী ব্যাংক এগিয়ে আসবে”Ñ বলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাংকার।
জানা গেছে, শিওরক্যাশের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক আগে থেকেই নানারকম জনকল্যাণমূলক কর্মকাÐে সম্পৃক্ত রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চিনিকলের কাছে আখচাষীদের পাওনা পৌঁছানো। পাশাপাশি চিনিকল থেকে দেয়া ঋণের অর্থও পৌঁছে যাচ্ছে কৃষকের শিওরক্যাশ হিসাবে। এতে কৃষকরা মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছেন, তেমনি সময়মতো পেয়ে যাচ্ছেন টাকা।
“ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায় এখানেই থেমে থাকবে না রূপালী ব্যাংক” বলেনÑ আতাউর রহমান প্রধান। তিনি বলেন, “আমরা বয়স্কভাতা, বিধবাভাতাসহ স্যোশাল সেফটি নেটের সকল ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছি। তারা আমাদের পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে একটি উপজেলায় কাজ করতে বলেছে। আশা করছি, সামনের দিনে আমরা সকল ভাতা সুবিধাভোগীদের মোবাইল হিসাবে পৌঁছে দিতে পারবো।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।