পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে চেপে বসা সা¤প্রদায়িকতা, স্বৈরতন্ত্র ও বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির জগদ্দল পাথর সরিয়ে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মহাসংগ্রামে রয়েছি আমরা।
গণমাধ্যম এ পথচলায় গণতন্ত্রের সঙ্গী। গণতন্ত্রের সাথে গণমাধ্যমেরও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এ সংগ্রামের অংশ। গতকাল (সোমবার) বিকেলে রাজধানীতে বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অন্যপ্রকাশ বিতানের সামনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার গবেষণাগ্রন্থ ‘গণমাধ্যম, গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতা-প্রেক্ষিত: বাংলাদেশ’ এর মোড়ক উন্মোচনকালে একথা বলেন। ‘হার না মানা গণতন্ত্রের সৈনিক এদেশের প্রত্যেক গণমাধ্যম কর্মীকে’ তিনি উৎসর্গ করেছেন বইটি।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সংবিধানে দেয়া মানবাধিকার সমুন্নত রেখে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষা, প্রসার ও বিকাশ ঘটানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দীর্ঘ ৪ বছরের গবেষণার ফসল হিসেবে ‘গণমাধ্যম, গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতা-প্রেক্ষিত : বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি প্রণীত।
তার ওপর অর্পিত তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে মুক্তিযোদ্ধা ইনু বলেন, একদিকে সংবিধানে দেয়া স্বাধীনতা রক্ষা আবার অপরদিকে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা ও পবিত্রতা রক্ষা করে এর বিকাশ ও প্রকাশকে সহায়তা করার দায়িত্ব পালনকালে যে গবেষণা করতে হয়েছে, তারই লিপিবদ্ধ রূপ এই বইটি।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় নারী জোটের সভাপতি আফরোজা হক রীনা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. অরূপ রতন চৌধুরী, অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক অতিথি মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
হাসানুল হক ইনু এ সময় তার গবেষণাপত্র, লেখনী সংকলন, গবেষণাপ্রসূত বক্তব্য ধারণ ও লিপিবদ্ধকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যমকে হলুদ সাংবাদিকতা, অশ্লীলতা, মিথ্যাচার, গুজব ও জঙ্গি উস্কানির হাত থেকে রক্ষা করার একটি কৌশলপত্র হিসেবেও এ বইটি গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র চর্চাকারীদের কাজে আসতে পারে।
অন্যপ্রকাশ প্রকাশিত বইটিতে ‘গণমাধ্যম, সাংবাদিকতা ও বাংলাদেশ’, ‘জঙ্গি-সন্ত্রাস ও ইসলামভীতি মোকাবিলা এবং গণমাধ্যম’, ‘আমাদের চলচ্চিত্র-আমাদের গর্ব’, ‘আমাদের গণমাধ্যমঃ গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী’, ‘সাংবাদিক নিরাপত্তা’, ‘বেতার ঃ যাপিত জীবনের প্রতিধ্বনি’, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আমাদের গণমাধ্যম’, ‘প্রাথমিক শিক্ষা ও সাংবাদিকতা’, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংবাদিকতা’, ‘দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ুর পরিবর্তন ও সাংবাদিকদের ভূমিকা’, ‘চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতা’, ‘সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা’, ‘আমাদের সংস্কৃতি ও গণতন্ত্রের ধারা’, ‘রাজনীতি, প্রশাসন ও গণতন্ত্র’, ‘টেলিভিশন ও কেবল টিভি নেটওয়র্ক’, ‘মুুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ও জঙ্গিবাদের স্বরূপ’, ‘পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ টেলিভিশন’, ‘কমিউনিটি বেতার : তৃণমূলকে আনে টেকসই উন্নয়নে’, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও তথ্য মন্ত্রণালয়’, ‘বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের এই সময়’ শীর্ষক কুড়িটি অধ্যায় রয়েছে।
রাজনীতিক, গণমাধ্যম কর্মী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এ বিষয়ে আগ্রহীদের কাছে বইটি সমাদৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোড়ক উন্মোচনে আগত অতিথিবৃন্দ।
এর আগে হাসানুল হক ইনু’র ‘তিন দাগে ঘেরা বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি’,‘গণতান্ত্রিক সংগ্রামের নয়া কৌশল’ বইসমূহ ছাড়াও দুই শতাধিক রাজনৈতিক প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এর পরপরই ড. অরূপ রতন চৌধুরীর ‘তামাক ও ধূমপান: মেয়েদের জন্য সমান ক্ষতিকর’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন ও বইটি সবার পড়া উচিত বলে উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।