পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নাকে খত দিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন সরকার দলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ারও কড়া সমালোচনা করেন। এতিমদের টাকা আত্মসাতের দায় নিয়ে খালেদা জিয়া আইনের হাত থেকে বেঁচে যেতে পারবেন না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না জানিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ৯৩ দিনের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন। এদের সাথে কিসের আলোচনা। বিশ্বেও কোথাও কেউ সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে না।
গত নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনার আহ্বানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সিনিয়র এই পার্লামেন্টারিয়ান বলেন, খালেদা জিয়া সেসময় আলোচনায় না এসে অবরোধ-হরতালের নামে অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে শেখ হাসিনাকে তার কাছে মাথা নত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে; কারও কাছে মাথা নত করার মতো নেতা নয়। কানাডার আদালতে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করার প্রসঙ্গ তুলে শেখ সেলিম বিশ্ববাসীর মতো দেশবাসীকেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রত্যাখান করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনার অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না- বিএনপির এমন দাবির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করবেন। কোন টালবাহানা করে লাভ হবে না। গতবার নির্বাচন না করে রাজনীতির ময়দান থেকে আউট হয়েছেন। এইবার যদি নির্বাচন না করেন; তাহলে নিবন্ধনও বাতিল হবে, বিএনপিও থাকবে না। ওটা মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ দলে পরিণত হবে। সুতরাং হুমকি-ধামকি দিয়ে কিছু লাভ হবে না। আর আপনি আসেন আর না আসেন তাতে আামদের কি? সংবিধান অনুসারে যার খুশি সে নির্বাচনে আসবে? এই জন্য আপনাকে নির্বাচনে ডাকতে হবে কেন?
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, আন্দোলন কাকে বলে, তা কত প্রকার ও কি কি; সেটা আওয়ামী লীগ জানে? আপনারা কি আন্দোলন করবেন! আপনারা তো পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার লোক। আপনারা কোনদিন আন্দোলন করে ক্ষমতায় গেছেন। আপনারা ১৫ ফেব্রুয়ারি মতো নির্বাচন চান। ওই রকম নির্বাচন আর বাংলাদেশে হবে না। আজিজ মার্কা-সাদেক মার্কা নির্বাচন হবে না। আন্দোলনের নামে যদি সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ ও পুলিশ হত্যা করেন, জনগণের সম্পদ নষ্ট করেন, তাহলে গণপিটুনির জন্য প্রস্তুত থাকেন। জনগণ এমন গণপিটুনি দেবে পালাবারও সময় পাবেন না। পাকিস্তানেও যেতে পারবেন না।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাই এর বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। যতই চেষ্টা করুন না কেন? এই এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সুখে-শান্তিতে থাকবেন; এটা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অপরাধ যেই করুক তার বিচার বাংলার মাটিতে হচ্ছে।
আগামী নির্বাচন হতে হবে গ্রহণযোগ্য সহায়ক সরকারের অধীনে বিএনপির এমন দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, গ্রহণযোগ্য এবং সহায়ক সরকার বলে কোন সরকার সংবিধানে নেই। সংবিধানে আছে, প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্য কোন অ-নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। তাই আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। খালেদা জিয়াসহ কিছু বুদ্ধিজীবী তথা তথাকথিত সুশীল সমাজকে মাঠে নামিয়েছেন। তিনি ষড়যন্ত্র করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। খালেদা জিয়া সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। তিনি আবোল-তাবোল বলছেন। তিনি বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই ফেটে যাবে। এজন্য তাকে পাবনার হেমায়েতুপুরে (পাবনা) নয়, রাঁচিতে (ভারতের) পাঠাতে হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবির পাশাপাশি শেখ সেলিম বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতি পূরণ দাবি করেন। একইসঙ্গে মিথ্যা অপবাদের জন্য শেখ হাসিনার সরকারের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। এর পরে বক্তব্য রাখেন মেজর (অব:) রকিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, মহিবুল হক মানিক এমপি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।