পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719829712](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশবাসীর প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, তোমরা আমাকে স্বৈরাচার বলো কেন? স্মৃৃতিসৌধ সংস্কার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী মাজার আমি করেছি। এটা কি স্বৈরাচারী কাজ? গতকাল এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বৈরাচারই ১৯৮৬ সালে সংসদে বিল পাস করেছিলো সংসদসহ সকল অফিস-আদালতে বাংলাভাষার প্রচলন করতে হবে। বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার এবং গাড়ীর নাম্বার বাংলা বাধ্যতামূলক করেছিলাম। শহীদ মিনার ভঙ্গুর অবস্থায় ছিলো তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার আমি স্বৈরাচারই করেছিলাম। গুলশানের ইমানুয়েলস্ সেন্টারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাইদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মেজর অব. খালেদ আখতার, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফ সিদ্দিকী, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুব সংহতির সদস্য সচিব ফখরুল আহসান শাহাজাদা প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমি সামরিক শাসক নই। বিচারপতি আবদুস সাত্তার সামরিক আইন জারি করেছিলেন। আমি সেদিন ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দিয়েছিলাম। তখন কেউ নির্বাচনে আসেনি। তাই ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি গঠন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আর ক্ষমতায় ছিলাম বিধায় এদেশের আমূল পরিবর্তন আনতে পেরেছিলাম। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তোমরা যারা আমাকে স্বৈরাচার বলে আখ্যা দাও, আমি দেশের জন্য যে উন্নয়ন ও কাজ করেছি তা তোমরা করতে পারনি। আজকে যে রাস্তার উপর ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে সে রাস্তা আমার নির্মাণ করা। যে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে সে মাওয়া বিশ্বরোডও আমার শাসনামলে করা।
এরশাদ বলেন, আমার নামে ৪২টি মামলা। এখনও মামলা চলমান। কেন চলছে? এ মামলাগুলো আগের সরকারের দেয়া। তারপরও এ মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে না। কারণ জাতীয় পার্টিকে সবাই ফ্যাক্টর মনে করে। এত অত্যাচার ও অবিচারের পরও আমি বেঁচে আছি। আমার কোন বডিগার্ড নেই, গানম্যান নেই, একা চলি। কারণ আমি জানি দেশের মানুষ আমাকে ভালবাসে। জনগণই আমার গানম্যান। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই দেশে যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছিলো তাদের অবস্থা আজ কী? তারা আজ নিঃশেষ হতে চলেছে। সবই আল্লার বিচার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।