পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচনী সহিংসতায় এক কিশোর নিহত হয়েছেন। নিহত সাইফুল ইসলাম (১৭) জগন্নাথপুর উপজেলার উত্তর কালনীরচর গ্রামের মৃত শরফ উদ্দিনের ছেলে।
এ সহিংসতায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ঘটনা ঘটেছে গতকাল রোববার উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার হাতানিপাড়ায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ২ ঘণ্টা অবরোধ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যে কোন সময় আবারও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। গুলিবিদ্ধরা হচ্ছেন- জগন্নাথপুর উপজেলার উত্তর কালনীরচর গ্রামের মৃত রহমত উল্লার পুত্র আতাউর রহমান (২৭), হানিফর ছেলে দিলদার আলী (১৫), মৃত মনাই মিয়ার ছেলে আলাই মিয়া (৪০)।
জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জগলু চৌধুরী গত শনিবার বিকালে বাংলাবাজারে নির্বাচনী প্রচারে বের হন। এ সময় তার সঙ্গে সাদীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দিন, আরজু মেম্বার ও তার ভাই বাহার মিয়া সাথে ছিলেন। এ সময় বাজারের একটি চা দোকানে থাকা জগন্নাথপুর উপজেলার উত্তর কালনীচরের আল আমিনসহ ৬/৭ যুবককে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জগলু চৌধুরীর পক্ষে কাজ করতে বলে তার সমর্থকেরা। তারা জগলু চৌধুরীর পক্ষে কাজ করতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। শনিবার রাতে দক্ষিণ কালনীরচর গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইক দিয়ে উত্তর কালনীরচর গ্রামের লোকজনকে হাঙ্গামার ডাক দেয়। এ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সমাধানের জন্য রোববার সকালে সালিশ বৈঠক বসে। সকালে সালিশ চলাকালে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে দুই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষে ৬ রাউন্ড গুলি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই কিশোর সাইফুল মারা যান। গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জগন্নাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। নিহত সাইলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তাজপুরে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে সিলেট এডিশনাল এসপি ডঃ আখতারুজ্জামান বশর মিয়া ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্র্মীরা সাবেক আ’লীগ সভাপতি কবির উদ্দিন আহমদকে গ্রেফতার করার দাবি জানান।
ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান বলেন, কবির উদ্দিন আহমদ একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছেন। এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সাদিপুর ইউনিয়নে একর পর সন্ত্রাসীর জন্ম দিচ্ছে এক ব্যক্তি। সে চায় ঐ এলাকায় একক আধিপত্য। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সকল অপকর্ম বন্ধ হবে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল চৌধুরী নিহতের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।