পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের কয়েকটির অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করো হবে না তা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ চারজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল (রোববার) এক আইনজীবীর করার রিট আবেদনের ওপর দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করে। বিচারাঙ্গনে দ্বৈত শাসনের বিষয়টি প্রধান বিচারপতি সামনে আনার পর নানামুখী আলোচনার মধ্যে সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদে দুই দফায় আনা সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ গত ৩ নভেম্বর এ রিট আবেদন করেন।
আদেশের পর ইউনুছ আলী বলেন, সংবিধানের ৪৮(৩), ৯৫, ৯৮, ১১৫, ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করো হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আদেশের পর তিনি বলেন, এই ধারাগুলো বাহাত্তরের সংবিধানে এভাবে ছিল না। পরে দুই দফায় সংশোধন করে বর্তমান ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে যা, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ইউনুছ আলী বলেন, দেড় মাস ধরে শুনানির পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণœ রাখতে আদালত রুল দিয়েছে। ইউনুছ আলীর ভাষ্য, বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ১১৬ অনুচ্ছেদে অধ:স্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিল সুপ্রিমকোর্টের হাতে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীতে সুপ্রিমকোর্টের পরিবর্তে ওই ক্ষমতা দেয়া হয় প্রেসিডেন্ট কাছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়া সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে আইন তৈরি সাপেক্ষে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিধান থাকলেও সংসদে কোনো আইন ছাড়াই ৪৫ বছর ধরে বিচারক নিয়োগ দিয়ে আসাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে এই ধারা বাতিল চাওয়া হয়েছে তার আবেদনে।
বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছর ৩১ অক্টোবর এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি ১১৬ অনুচ্ছেদকে বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেন। সংবিধানে ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা ছিল, বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্বপালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধান সুপ্রিমকোর্টের ওপর ন্যস্ত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।