পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পিলখানার ঘাতকদের বিচার ও শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠছিল। প্রিয় সন্তান হারা মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানেরা কবর জিয়ারত করতে এসে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে গতকাল কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার কেউ কেউ ঘাতকদের বিচার ও শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার দাবী জানিয়েছেন।
গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বনানী সামরিক কবরস্থানে এক তরুণ ও কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে একটি কবরের সামনে দাঁড়ালেন লাঠি হাতে আসা ষাটোর্ধ্ব এক নারী। সেখানে বসে থাকলেন বেশ কিছুটা সময়। কাঁদলেন, দোয়া করলেন, তারপর আবার ফিরতে শুরু করলেন প্রধান ফটকের দিকে। ষাটোর্ধ্ব ওই নারীর চোখে তখন অশ্রু। তরুণ ও কিশোর ছেলে দুটির চোখে-মুখে বেদনার ছাপ। তারা হাঁটছিলেন ধীরপায়ে। কাছে এগিয়ে গিয়ে কথা বলতেই সেই বৃদ্ধার কান্নার যেন বাঁধ ভেঙে গেলো। কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, ‘আমি এক দুঃখিনী মা, ৮ বছর ধরে বুকে কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছি।
৮ বছর আগে আমার নিষ্পাপ, নির্দোষ ছেলেকে ওরা মেরে ফেলেছে।’ আলাপচারিতায় জানা গেলো, তার নাম কোহিনুর বেগম। পিলখানা ট্রাজেডিতে নিহত মেজর মিজানুর রহমানের মা তিনি। মিজানুরের দুই সন্তানকে নিয়ে পিলখানা ট্রাজেডির দিকে কবর জিয়ারত করতে এসেছিলেন তারা। সাদাকাত বিন মমিনের বয়স আট বছর। গতকাল মায়ের সঙ্গে বনানীর সামরিক কবরস্থানে এসে কাঁদছিল সে। বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে অস্ফুটস্বরে বলছে, ‘ওদের জন্য আমি আমার বাবাকে দেখতে পেলাম না।’ জন্মের পর বাবাকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি সাদাকাতের। পিলখানা ট্রাজেডির ১১ দিন পরে জন্ম নেয় সে। ওই হামলার ঘটনায় নিহত মেজর মোমিনুল ইসলামের ছেলে সে।
গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিল পিলখানা ট্রাজেডির ৮ বছর। ২০০৯ সালের এই দিনে (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) পিলখানায় বিডিআর-এর (বর্তমানে বিজিবি-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে নারকীয় এক হত্যাকান্ড চালায়। এসময় তারা অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটও করে। ওই দু’দিনে তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পিলখানা ট্রাজেডির ৮ বছর পূর্তিতে সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহতদের স্মরণে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল ৯টার দিকে কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে নিহতদের করা শুরু হয়। এর আগে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিউগল বাজিয়ে ও স্যালুটের মাধ্যমেও জানানো হয় শ্রদ্ধা। তারপর স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সবাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো ও কবর জিয়ারত শেষে নিহত মেজর মিজানের মায়ের সঙ্গে ফিরছিলেন তার দুই সন্তান তাহসিন রহমান রামি ও ফারদিন রহমান সামিও। রামি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। আর ১১ বছরের সামি পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে বনানীর একটি স্কুলে। ৮ বছর আগের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রামি বলেন, ‘সেদিন সকালে বাবার (মেজর মিজান) নতুন র্যাঙ্ক পড়ার কথা ছিল। সকালে বাবা যখন নাস্তা করে বাসা থেকে বের হন তখন আমার সঙ্গে কথা হয়। আমি তাকে বিদায় জানাই। সেদিন আমাদের জন্য ছিল শুভ দিন। কিন্তু সেটা হয়ে যায় অশুভ। র্যাঙ্ক পরার বদলে তিনি দুই দিন পর ফিরেন লাশ হয়ে।’
অশ্রæসিক্ত হয়ে পড়েন রামি। চোখ মুছে আবার বলতে থাকেন, ‘এতবড় একটা ঘটনা ঘটলো। এই ঘটনার দোষীরা এখনো শাস্তি পেলো না। এই ঘটনা কেন ঘটলো তাও আমরা জানতে পারলাম না। একটি ঘটনা তো আর এমনি এমনি হয় না। কেউ আমাদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। আমার জানার খুব ইচ্ছা কেন আমার বাবাকে হত্যা করা হলো? পিলখানায় রামি-সামির বাবার নির্মম মৃত্যুর নয় মাস আগে মাকে হারান তারা। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মা রেবেকা ফারহানা রোজী। এখন দাদা-দাদির সঙ্গেই থাকেন দুই ভাই। পিলখানার ঘটনার সময় সামীর বয়স তিন বছর। ফলে তার সেই স্মৃতি আর মনে নেই। তবে রামির হৃদয়ে গেঁথে আছে বেদনাসিক্ত সেই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত। সামি বলেন, আমি ক্যাডেট কলেজে পড়ছি। আমার ইচ্ছা আমি আর্মিতে জয়েন করার। আমি আমার বাবার মতো হতে চাই।
রামি-সামির মতোই বাবার কবর জিয়ার করতে মা সানজানা সোনিয়ার সঙ্গে এসেছিলেন ৮ বছরের সাদাকাত বিন মমিন। পিলখানা ট্রাজেডিতে নিহত মেজর মোমিনুল ইসলামের ছেলে। জন্মের পর বাবাকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি তার। পিলখানা ট্রাজেডির ১১ দিন পর জন্ম হয় তার। মা সানজানা সোনিয়া বলেন,‘বাবার ছবি দেখে ও গল্প শুনে সে বুঝে গেছে তার বাবার কী হয়েছে। এজন্য মাঝে মধ্যেই সে বলে আমি বড় হয়ে অফিসার হবো তারপর ওদের গুলি করে মারবো।’
নিহত মেজর মমিনুলের বাবা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে হারিয়েছি, ছেলেকে তো আর কোনওদিন ফিরে পাবো না। কিন্তু বিচারটা দেখে যেতে পারলে মনে শান্তি পেতাম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে দিনাতিপাত করছি আমাদের খোঁজ কেউ নেয় না।’ কান্নাজড়িতকণ্ঠে মোমিনের বোন মেহেরুন্নাহারও বলেন একই কথা। শহীদ সৈনিক জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা আফরিন বলেন, ‘আমরা শুধু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এর বেশি আমাদের কোনও চাওয়া নেই।’ নিহত কর্নেল কিবরিয়ার ছোট ভাই জাফর আহমেদ বলেন, ‘শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা বছরের পর বছর কষ্ট বুকে নিয়ে আছি। আর যেন কোনও শৃঙ্খলা বাহিনীতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে। আমরা যেন এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দেখতে পাই, এই আমাদের প্রত্যাশা।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত কর্নেল কুদরত-ই-এলাহীর বাবা হাবীবুর রহমান। বলেন, ‘আল্লাহর কাছে বিচার চাই। আমার সন্তান সম্পূর্ণ নিরপরাধ ছিল। সন্তান হারিয়ে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত কষ্ট আর সহ্য করতে পারি না।’
এদিকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনায় পলাতকদের খুঁজে বের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খুঁজে বের করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।’ পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি দুঃখের একটি দিন। এই ঘটনার এখনো বিচার চলছে। কিন্তু ঘটনার রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। মূল পরিকল্পনাকারী বা নেপথ্য নায়ক কে? তারা কোথায়? তাদের খুঁজে বের করে এই ঘটনার ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
বিডিয়ার বিদ্রোহে বাধা দিতে গিয়ে প্রাণ হারানো সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের পরিবার গত আড়াই বছরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্লটটি পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী সন্তান। তাঁরা বলছেন, বিদ্রোহে নিহত শহীদ সেনা সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা প্লট পেয়েছেন বহু আগেই। গত আড়াই বছর ধরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় নুরুলের পরিবারের জন্য বরাদ্দ প্লটের ফাইলটি বন্দি হয়ে আছে ‘লাল ফিতায়’। এমন পরিস্থিতে কবে নাগাদ তারা এই প্লট বুঝে পাবেন তাও নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
বিডিআর বিদ্রোহে নির্মমভাবে নিহত শহীদ নুরুলের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান জানান, বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও বিডিআরের বেশকিছু সদস্য মারা যায়। এর মধ্যে তারা বাবাই সেনা অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যার আগে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই কারণে ঘাতক বিডিআর সদস্যরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিদ্রোহে বাধা দিতে প্রাণ হারানোয় ৫৭ সেনা সদস্যের পাশপাশি তার বাবা সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামকেও শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন সরকার। বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ পরিবারের জন্য সরকার প্লট বরাদ্দের ঘোষণার পর ইতোমধ্যে সবাই প্লট পেয়ে গেছেন।
৫৭ সেনা কর্মকর্তার পরিবারকে যে প্লট দেওয়া হয়েছে ওই প্লটের জায়গা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছিলো। কিন্তু তার বাবা ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তাই সেখানে প্লট দেওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বর্তমান বিজিবিকে লিখিতভাবে জানানো হলে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণপূর্ণ মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেয়। গণপূর্ণ মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবার নির্দেশনা দিয়ে প্লট ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়ে আদেশ পাঠান। কিন্তু গত আড়াই বছরও প্লট পাওয়া যায়নি।
হান্নান জানান, তাদের পরিবারকে প্লট ও ফ্ল্যাট সুযোগ দেওয়ার জন্য তৎকালীন উপসচিব শাহরিয়ার (প্রশা-২) স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়। যার স্মারক নং প্রঃ শাঃ৬/রাজ-১৬/২০১৩/৩০৭। ১২ জুন ২০১৪ সালে পাঠানো ওই চিঠিতি ফ্যাক্সযোগ রাউজক পায় ১৬ জুন ২০১৪ সালে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর পাওয়া ৪৪,০০,০০০০.১১৬.৩৬.০০১.১২/৪২৫ নম্বর স্মারকের কথা চিঠিতে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য নির্দেশ মোতাবেক অনুরোধ করা হয়। চিঠির পর আমি ১০ থেকে ১২ বার রাজউক চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করি। কিন্তু এখনো কোনো সুফল হয়নি।
সূত্রমতে,২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায় তার মেজর নুরুল ইসলাম নাস্তা না করেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন ডিজিকে রিসিভ করার জন্য। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিলখানায় গোলাগুলির পর থেকে নুরুল ইসলামের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর তার ছোট মেয়ে নাসরীন আক্তার ইতি এসএম কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলার বাসা থেকে দেখতে পায় চার মুখোশধারী জোয়ান তার বাবাকে কাঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
শহীদ সুবেদার মেজর মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম জানান, বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা শহীদ হন। সেনাদের বাঁচাতে তার স্বামী বিডিআর জওয়ানদের ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ হারান। তার স্বামী অত্যন্ত সৎ ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি ৪ বার ডিজি পদক পেয়েছিলেন। সৎ ও অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য সরকার তাকে পবিত্র হজব্রত পালন করায়। স্বামী শহীদ হওয়ার পর তার সব আশা ভেঙে যায়। ৪ সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সর্বদাই তিনি মানসিকভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন।
আয়েশা বেগম জানান, শহীদ ৫৮ জনের মধ্যে ৫৭ শহীদ সেনা কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৪ কাঠার প্লট বরাদ্দ পান। কিন্তু এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।