Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পিলখানা ট্র্যাজেডির ৮ম বার্ষিকী পালিত

নিহতদের স্মরণে দোয়া

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পিলখানা হত্যার গতকাল ছিল অষ্টম বার্ষিকী। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে ঘটে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস ঘটনা। কতিপয় বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্য কর্তৃক পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়। নিহতদের স্মরণে গতকাল বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহত সেনা সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রেসিডেন্টের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো: সরোয়ার হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রম বনানীস্থ সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত (সম্মিলিতভাবে) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন (সম্মিলিতভাবে) শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও, এ উপলক্ষে সকল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতমের ব্যবস্থা এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত-এর আয়োজন করা হয়। এ মাহফিলে সেনাবাহিনীর সকল স্তরের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিডিআর হত্যাকান্ড মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যারা পলাতক রয়েছেন তাদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে গতকাল সাংবাদিকদের এসব বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এত বড় মামলার তদন্ত শেষ করা কঠিন। এ মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যারা পলাতক রয়েছেন তাদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের সঙ্গে বিজিবির (পুরনো বিডিআর) বাইরের কারো যোগসাজশ বা চক্রান্তের কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। বিডিআরের অভ্যন্তরীণ কারণেই এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রতীয়মান। ওই ঘটনার তদন্ত এখনো চলমান উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তদন্তে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।
বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের পর সরকারি যে পদক্ষেপ ছিল তার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বিজিবির গোয়েন্দা শাখাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে (পিলখানা) সংঘটিত ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ