পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কানাডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনলে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান হবে। তাকে ফিরিয়ে আনলে তা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বড় মাইলফলক হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্কের ৪৫ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এক সংলাপের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহরিয়ার আলম এ কথা বলেন। কানাডা হাইকমিশনের সহায়তায় ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (আইপিএজি) রাজধানী ওই আলোচনার আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, গেøাবাল অ্যাফায়ার্স কানাডার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশে কানাডার সাবেক হাইকমিশনার রবার্ট ম্যাকডুগাল এবং বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া পিয়েরে লারামি। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন আইপিএজি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মুনির খসরু।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানাডা সফরের সময় পিয়েরে ট্রুডোকে দেয়া ওই পদক তার ছেলে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হাতে তুলে দেয়া হয়। ২০১৬’র ওই সফর বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্কে ‘নতুন উদ্যম’ সৃষ্টি করেছে বলেও গতকালের আলোচনায় মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। গত বছর কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যার বেশিরভাগই হয়েছে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক-মুক্ত রফতানির মাধ্যমে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকালে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
আলোচনা সভায় ড. মশিউর রহমান তার বক্তব্যে বিগত ৪৫ বছরে বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার সম্পর্কের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও কানাডা মধ্যকার পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
গেøাবাল অ্যাফায়ার্স কানাডার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশে কানাডার সাবেক হাইকমিশনার রবার্ট ম্যাকডুগাল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসবাদের উত্থানে কানাডা বিচলিত। বিশেষ করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের উত্থানে কানাডার বিশেষ উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ ও বিদেশী নাগরিকদের অবনতিশীল নিরাপত্তায় আমরা উদ্বিগ্ন। এর ফলে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষে মানুষে যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে প্রভাব পড়তে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই অবস্থায় বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক নিরাপত্তার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমরা উৎসাহিত করছি।
আইপ্যাগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুনীর খসরু বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি সুদৃঢ় করেছে। যেহেতু কানাডা সরকার দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাই ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কানাডীয় হাইকমিশনার বেনোয়া পিয়েরে লারামি তার সমাপনী বক্তব্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুশাসন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কানাডা-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে সকলকে মূল্যবান পরার্মশ দেয়ার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।