Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অমর একুশে গ্রন্থমেলা শেষভাগের বইমেলায় আশানুরূপ বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মেলার শেষভাগে ক্রেতাদের আগমনে জমে উঠেছে বইপ্রেমী লেখক-পাঠকদের বইমেলা। মেলার দুই অংশের প্রায় সবকটি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। সবার হাতেই নতুন বইয়ের প্যাকেট। জনপ্রিয় কবি-লেখকদের গল্প-কবিতা-উপন্যাস যেমন বিক্রি হচ্ছে, তেমনই বিক্রি হচ্ছে মননশীল বই। এছাড়া বাদ পড়ছেন না রাজনীতিবিদ ও তরুণ লেখকদের বইও। হচ্ছে প্রকাশকদের আশানুরূপ বই বিক্রি। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার শেষভাগে বইপ্রেমীদের এ উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আর মাত্র চারদিন পরেই শেষ হবে মেলা। তাই মেলার শেষ ভাগে ছুটির দিনে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ই মনে করিয়ে দিচ্ছে মাসজুড়ে মেলা শেষ হয়ে এসেছে। গতকাল ছুটির দিন উপলক্ষে সকালে মেলার দ্বার খুলতেই ভিড় করতে থাকেন বইপ্রেমীরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। মেলার পরিধি আগের চেয়ে অনেক বাড়লেও বইমেলায় যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। বইপ্রেমীদের সারি বাংলা একাডেমি ছাড়িয়ে একদিকে দোয়েল চত্বর, অন্যদিকে টিএসসি পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া উদ্যানের ভিতরের গেইটের দীর্ঘসারিও লক্ষ্য করা গেছে।
ভাষার মাসকে ঘিরে বইমেলায় বিরাজ করে ভিন্ন এক আবহ। এছাড়া বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলায় লক্ষ্য করা যায় তরুণ-তরুণী দর্শনার্থী-ক্রেতাদের উৎসবের মহড়া। মেলার শুরুর দিকে কেউ আসে ঘুরতে আবার কেউ আসে বই কিনতে। প্রথম দিকে মানুষের ভিড় কম থাকে বলে দর্শনার্থীদের আগমনই বেশি লক্ষ্য করা যায়। সব কিছুই অতিক্রম করে বইমেলা এখন শেষভাগে উপনীত হয়েছে। বিদায়ের সুর বেঁজে উঠেছে বইপ্রেমী লেখক-পাঠকদের এ মহাযজ্ঞে।
তাই এখন আর দর্শনার্থী নয়; যারা আসছেন তারা প্রকৃত ক্রেতা হিসেবেই মেলায় প্রবেশ করছেন। বিভিন্ন স্টল ঘুরে পছন্দের বইগুলো নিজের সংগ্রহে নিয়ে নিচ্ছেন। বিক্রেতারাও যেন মহাব্যস্ত। তাদের এই মহাব্যস্ততা জানান দিচ্ছে, শেষ খেয়া আর বেশি দূর নেই। তাই এখন আর বসে অলস সময় কাটানোর সুযোগ নেই। যা করার এখনই করতে হবে। যে ক’টা দিন আছে সর্বোচ্চ দিয়ে গুছিয়ে নিতে নিজের আখের। মেলাজুড়ে যেন বিরাজ করছে বিক্রয়ের ধুম।
গতকাল ছুটির দিন উপলক্ষে মেলার শিশুপ্রহরে অভিভাবকের হাত ধরে আসে শিশু-কিশোররাও। সকালে সিসিমপুরের পাপেট শো’তে শিশুদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। শিশুতোষ বইয়ের বিক্রিও বেড়েছে স্বাভাবিকভাবে। তাছাড়া মেলায় অনেককেই পাওয়া যায় যারা নিজেদের জন্য বই না কিনলেও সন্তানের হাতে ঠিকই বই তুলে দিচ্ছেন। এখন শেষ সময়ে যারাই আসছেন সবাই কোনো না কোনো বই হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
মেলায় উত্তরা থেকে মাইমুনা জান্নাত মিম ও সাবিহা এসেছেন বাবা মাইনুল ইসলামের হাত ধরে। হাতে এক ব্যাগ বই। সে কিনেছে সায়েন্স ফিকশন, ভূতের গল্প, টুনাটুনির গল্পসহ ১০টি বই। মাইনুল জানান, কাজের ব্যস্ততায় এতদিন আসা হয়নি। শেষ সময়ে বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় এসেছি তাদের পছন্দের বইগুলো কিনেছি। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে চলে যাব।
প্রকাশকরা বলছেন, বিষয়ভিত্তিক বইয়ের কদর দিন দিন বাড়ছে। প্রবন্ধ, গবেষণামূলক বইয়ের বিক্রিও বেশ ভালো। জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও তরুণ লেখকদের বইয়ের কদর নেহায়েত কম না। মেলার শেষ মুহূর্তে এসে প্রকাশকরা মনে করছেন, প্রকৃত পাঠকরা দেখে-শুনে বই কেনার জন্য মেলার শেষভাগের এই দিনগুলোই বেছে নেন। মেলায় যত নতুন বই আসার তা এরই মধ্যে এসে গেছে। যার ফলে এই সময়ে তারা দুই হাত ভরে নতুন বই কেনেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ