পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের কারাবন্দি শ্রমিক নেতাদের মুক্তি এবং শ্রমিক অধিকার পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ১১ সদস্য। সেই সাথে তারা শ্রমিক নেতাদের আইনসম্মত কর্মকাÐকে ‘অপরাধ’ হিসেবে অভিযুক্ত করার প্রবণতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত ২৩ ফেব্রæয়ারি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওম্যান জ্যান স্কাভোস্কি তার নিজের দাফতরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
স্বাক্ষরকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন কংগ্রেসম্যান জ্যান স্কাভোস্কি, স্যান্ডার লেভিন, বিল পাসক্রেল ও ববি স্কট। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অপর কংগ্রেসম্যানরা হলেন জেমস পি. ম্যাকগভার্ন, মার্ক পোকান, উইলিয়াম কিয়াটিং, জ্যাকি স্পেইয়ার, জোসেফ ক্রাউলি ও স্টিভ কোহেন।
চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছেন, আমরা উন্নতির (শ্রম অধিকার) পিছিয়ে পড়া এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত কর্মকাÐকে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করার ঘটনায় উদ্বিগ্ন। তারা বলেন, সব আটক শ্রমিক নেতাদের বিষয়ে দ্রæত জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও আনীত অভিযোগ পর্যালোচনার আহŸান জানাচ্ছি। ভুল কারণে আটকদের দ্রæত মুক্তি ও সব ধরনের ভিত্তিহীন ও অপ্রমাণিত অভিযোগ প্রত্যাহারে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কংগ্রেসম্যান স্কাভোস্কির বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারের ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছে। ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় ৩২ সেন্ট (প্রায় ২৫ টাকা) করার দাবিতে আন্দোলন করায় ১ হাজার ৬০ গার্মেন্ট শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন আইনপ্রণেতাদের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১০০ শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে উল্লেখযোগ্যভাবে। মার্কিন আইনপ্রণেতারা বলছেন, ভুল পথে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার পরিচালিত হওয়ার কারণে তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন। কংগ্রেসের পাওয়া তথ্য অনুসারে, নির্দিষ্ট কয়েকটি ইউনিয়নের নিবন্ধনের আবেদন বিবেচনার জন্যই উপযুক্ত মনে করা হয়নি।
বিবৃতিতে মার্কিন আইনপ্রণেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সঙ্গে তারা সরকারের নীতি ও অনুশীলনে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয় সঠিক পথে নিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।