Inqilab Logo

শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৮ আষাঢ় ১৪৩১, ১৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বদরুলের কঠিন শাস্তি চাইলেন খাদিজা

বিমানযোগে সিলেটে পৌঁছলেন গতকাল

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সিলেট অফিস : সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) প্রায় তিন মাসের চিকিৎসা শেষে সিলেট সদর উপজেলার আউশা গ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরেলেন কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খাদিজা। এরপর সেখান থেকে বাড়িতে চলে যান খাদিজা। এসময় তার সাথে ছিলেন বাবা মাসুক মিয়া ও ভাই শারনান হক শাহীনসহ স্বজনরা। এর আগে এর মধ্যে গত ১ ফেব্রæয়ারি এক সপ্তাহের জন্য বাড়ি গিয়েছিলেন খাদিজা।
বিমানবন্দরে পৌঁছে খাদিজা সাংবাদিকদের জানান, আমি চাই বদরুলের বিচার দ্রæত শেষ করে তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। যাতে করে এসব ঘটনার দৃষ্টান্ত থাকে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোন কলেজ ছাত্রী হামলার শিকার না হয়।
খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া জানান, খাদিজা বাড়িতে স্বাভাবিক রয়েছে। আত্মীয়-স্বজনসহ সবার সাথে অনেক দিন পর মন খুলে কথা বলছে। এখন মেয়েটার দিকে চাইলে সকল কষ্ট ভুলে যাই। তিনি আরও জানান, খাদিজা অনেকটা সুস্থ হওয়ার কারণেই চিকিৎসকরা তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন। তবুও বাড়িতে প্রাথমিক কোন সমস্যা হলে সিআরপি চিকিৎসকরা বলেছেন তাদের সাথে ফোনে কথা বলে পরামর্শ নেয়ার জন্য।
আদালত সূত্র জানায়, খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি বদরুল। আগামী রবিবার মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। ওই দিন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে খাদিজা উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে। বদরুলকে একমাত্র আসামি করে এই মামলাটি দায়ের তার চাচা আবদুল কুদ্দুস। গত বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বদরুল। এরপর ওই বছরের ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার এসআই (সাবেক) হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। পরে ৫ ডিসেম্বর, ১১ ডিসেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩৩ জন।
আদালতের সহকারী কৌঁসুলি জানান, আগামী রবিবার খাদিজা আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে। এই মামলায় তার সাক্ষ্য গ্রহণের পর আলোচিত এ মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করা হবে। তিনি আরও জানান, আমরা আশাবাদী এ মাসের দিকে যদি রায় ঘোষণা না হয় তাহলে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে রায় ঘোষণা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ