পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার : গত পরশু জাতীয় সংবাদপত্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে। যাতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ আমিমুল এহসান ও মোহাম্মদ উল্লাহ (হাফেজ্জী হুজুর) নামে দু’টি রাস্তার নামকরণ ইতোমধ্যেই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে। কোন স্থাপনায় উক্ত নাম থাকলে তা মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করা হল। এ বিজ্ঞপ্তিটি একটি রিট পিটিশনের আদেশ তামিলের অনুকূলে প্রচার করা হয়েছে। রিটটি কারা কী মর্মে করেছেন, তাদের দাবির সপক্ষে কী কী যুক্তি তারা দিয়েছেন তা বিজ্ঞপ্তি পাঠকের সামনে স্পষ্ট না হলেও রাজধানীর দু’টি রাস্তার নাম থেকে যে দু’জন বড় আলেম ও ওলীর নাম মুছে দেয়া হয়েছে সেটি তারা বুঝতে পেরেছেন। নানা ধর্মের নানা পরিচয়ের অসংখ্য মানুষের নামে রাজধানীতে রাস্তাঘাটে নাম থাকলেও বেছে বেছে কেন দু’জন শ্রদ্ধেয় আলেম ও অবিসংবাদিত বুযুর্গের নামই মুছে দিতে হল তা শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের সামনে স্পষ্ট নয়। মানুষ জানে না তাদের নিয়ে কী বিতর্ক বা কার কি অভিযোগ। তাছাড়া বিতর্ক নেই এমন কেউ কি মনীষীদের মধ্যেও আছেন? কিন্তু সভ্য জগতে লিগ্যাসি একটি বড় জিনিস। ইতিহাস ও সময়কে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। কেবল উগ্রপন্থায়ই দেখা যায় সবকিছুইকে অস্বীকার করতে। কাঁচের পাত্রের ঘরে ক্ষিপ্ত ষাঁড়ের মত আচরণ যুগে যুগে কেবল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর চরিত্রেই দেখা গেছে। সভ্য জগতে সব সময়ের শ্রদ্ধেয় মানুষকেই পরবর্তীতে স্মরণ করার নিয়ম রয়েছে। ভিন্নমত পোষণকারী মাত্রই উল্টে পাল্টে ফেলে দেয়া, নিজেদের সুসময়ে অতীতের প্রতিটি ব্যক্তিত্বকে সুযোগে আঘাত ও অপমান করা নিঃসন্দেহে হীন মন-মানসিকতারই পরিচয় বহন করে।
এ ভাষ্যকারের নিজ কানে শোনা একটি গল্প। বঙ্গবন্ধুকে নিজের লেখা বই উপহার দিতে নিজ পুত্র মহবুব আনামকে পুরনো সংসদে পাঠিয়েছেন আবুল মনসুর আহমদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে ইজিচেয়ারে আধ শোয়া হয়ে লাউড স্পিকারে সংসদ কার্যক্রম শুনছিলেন। কক্ষে তার সাথে কিছু মন্ত্রী-এমপিও ছিলেন। মহবুব আনাম বইটি তার হাতে তুলে দিলে বইয়ের কয়েক পাতা উল্টে পাল্টে দেখলেন তিনি। ভূমিকা পড়ে বললেন, আবুল মনসুর ভাই জিন্নাহ সাহেবকে কায়েদে আজম লেখলেন যে? এসময় কিছু মোসাহেব বিষয়টিকে হাওয়া দিতে লাগল। মহবুব আনাম তখন ফোনে, তার পিতার নিকট বঙ্গবন্ধুর এ অনুযোগ তুলে ধরায় আবুল মনসুর আহমদ বললেন শেখ মুজিবকে ফোনটি দাও। ফোন হাতে নিয়ে শেখ সাহেব এ কথাটি বলার পর আবুল মনসুর জবাব দিলেন, এখানে আমি ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে বিষয়গুলো লিখেছি। নিজের অভিরুচি বা মূল্যায়ন তুলে ধরিনি। জিন্নাহর যে সময়টি বইয়ে তুলে ধরেছি তখন তিনি আপনারও শ্রদ্ধেয় নেতা এবং কায়েদে আজম উপাধিতে ভূষিত। যেমন আমি এ বইয়ে আপনাকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হিসাবে তুলে ধরেছি। মুজিব ভাই হিসাবে নয়। ইতিহাস আপনাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হিসাবে স্থাপন করেছে। লেখক হিসাবে আমি এ সত্যটিই রেকর্ড করে রেখেছি। সময়ে যদি এতে কোন অবক্ষয়ও ঘটে ইতিহাসে কিন্তু বর্তমান বাস্তবতাটিই অক্ষুণœ থাকবে। কথাগুলো শুনে শেখ সাহেব মাথা নেড়ে নেড়ে সায় দিলেন। মুখেও হুঁ হাঁ ঠিক ঠিক বলতে থাকলেন। যারা মোসাহেবী করেছিল তারা নীরব হয়ে গেল।
১৯০ বছর ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের পর দেশ স্বাধীন হলে নানা সময় ঢাকায় ইংরেজ লর্ডদের নামে রাখা রাস্তার নাম কেউ বদলে ফেলেনি। এখনো মিন্টো রোড, হেয়ার রোড, জনসন রোড, টয়েনবি সার্কুলার রোড, কার্জন হল, জুবিলি রোড, হার্ডিঞ্জ ব্রীজ এদেশে রয়ে গেছে। পাকিস্তানে এত তিক্ততার পরও খায়াবানে সোহরাওয়ার্দী আর শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এভিনিউ রয়ে গেছে। উগ্র সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কিছু পরিবর্তন ছাড়া অতীতে ভারতেও এ ধরনের সহনশীলতার পরিবেশ বজায় ছিল। বিজেপিই প্রথম বোম্বেকে মুম্বাই, মাদ্রাজকে চেন্নাই ইত্যাদি করে। তারা দিল্লির আওরঙ্গজেব রোডটির নামও পরিবর্তন করে ফেলে। ইদানীং বাংলাদেশেও উপযুক্ত কারণ ছাড়া বহু পরিবর্তন এমন শুরু হয়েছে যা সভ্য জগতের রীতি-নীতি ও ঐতিহ্যকে তছনছ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এ ধরনের কাজ যে মুষ্টিমেয় কুচক্রীরা করে এটাও প্রমাণিত। নয়ত স্বাধীনতার পর ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ৯২ ভাগ মুসলমানের প্রতিষ্ঠান থেকে আল্লাহর নাম, কোরআনের আয়াত ও ইসলামের নাম-নিশানা মুছে দেয়ার সিদ্ধান্ত তো জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ও তার সরকার নেননি। সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধির কারিগর চিহ্নিত কুচক্রী মহলটিই এসব গণবিরোধী কাজ করেছিল। বর্তমানেও একই ধরনের কিছু কাজ একটি গোষ্ঠী করে বেড়াচ্ছে যাদের ভূমিকা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ধর্মনিরপেক্ষতার ভুল অর্থ করে এরাই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বেতার থেকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত তুলে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ দেশে ফিরে কোরআন তিলাওয়াত চালুর নির্দেশ দেন। বর্তমান সময়েও নানা রকম ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্ত কতিপয় ইসলাম বিদ্বেষী কর্তৃকই গৃহীত হয়ে থাকে, যা প্রধানমন্ত্রীর গোচরে এলে তবেই তিনি এসবের প্রতিবিধান করেন। কিন্তু তার জনপ্রিয়তা ও ইমেজের ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়েই যায়। পরে এসবের পুনর্নির্মাণ করতে বহু সময় লাগে।
সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিজ্ঞপ্তিটির উপর লগোর মত একটি শ্লোগান লেখা রয়েছে, উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র। অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশন প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের গণতন্ত্রকেই শক্তিশালী করতে সচেষ্ট। এর সাথে রাজধানীর দুই কিংবদন্তী বুযুর্গ মোহাম্মদ আমিমুল এহসান ও মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের নামে দু’টি রাস্তার নাম বাতিল করে, সকল স্থাপনা থেকে এসব মুছে ফেলার কী সম্পর্ক তা ঢাকাসহ দেশবাসী জনসাধারণের কিছুতেই বুঝে আসার কথা নয়।
ঢাকায় বৃটিশ যুগে যখন একটি সম্প্রদায়ের সংখ্যাধিক্য ও প্রাধান্য ছিল তখন ঢাকা পৌরসভার বড় কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে জনৈক ভদ্রলোক অসংখ্য স্বজাতীয় লোকের নামে রাস্তাঘাটের নামাকরণ করে নেন। ইতিহাসে পাওয়া যায়, মাত্র ১০/২০ টাকা চাঁদা দিয়ে এরা নিজের নামে লেন, স্ট্রীট ও সড়কের নামকরণ করিয়েছেন তখন। রূপচান লেন, হরিচরণ রায় রোড, সতীশ সরকার রোড, ভজহরি সাহা স্ট্রীট, ভগবতী ব্যানার্জি রোড, হৃষিকেশ দাস রোড, কে এম দাস লেন ইত্যাদি সে যুগের রাখা নাম। কিন্তু ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক চিন্তায় গত ১০০ বছরে তো কোন মুসলমান এসব নাম পরিবর্তনের কথা চিন্তা করেনি। শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান বাস করে এমন মহল্লা ও সড়কের যে কোন নাম নিয়েই তাদের কোন এলার্জি নেই। কিন্তু মুসলমান নামধারী মেয়র ও কর্তাব্যক্তিদের সময়ে প্র্যাক্টিসিং মুসলমান পরিচয় থাকার অপরাধে বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়েও সড়কের শিরোনাম হতে পারেনি এমন নজির এদেশে রয়েছে। ঢাকায় ভাষা সৈনিকদের নামে সড়কের নামকরণ হলো, কিন্তু শীর্ষ ভাষা সৈনিক হয়েও তালিকায় উঠলেন না অধ্যাপক আবদুল গফুর, অধ্যাপিকা চেমন আরা প্রমুখ। কারণ, তারা ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে নিজ এলাকায় একটি স্কুলের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। জমি দিয়েছেন, ভবন করে দিয়েছেন, যখন যা প্রয়োজন দিয়ে গেছেন, এক সময় স্কুলটি মঞ্জুরি পেয়েছে। সম্প্রতি এক পত্রে স্কুলের নাম থেকে ‘হোসনে আরা’ নামটি বাদ দেয়ার নির্দেশ এসেছে উপর থেকে। গার্লস হাইস্কুলের ফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে। সাবেক ও বর্তমান ছাত্রীরা চোখের পানি ফেলছে। শিক্ষক, স্টাফ ও এলাকাবাসী শোকাহত। চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ মর্মাহত। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা হতভম্ব। কেন কারা কোন স্বার্থে এমন অমানবিক আচরণ শুরু করেছে। মানুষ হতভম্ব। তারা ভেবে পায় না, এসব কাজ যারা করছে তাদের কর্মকা-ের বিষয়ে কি প্রধানমন্ত্রী খোঁজ-খবর রাখেন? মাতৃতুল্য একজন নিরীহ ভদ্রমহিলা, যিনি বয়সজনিত নানা রোগ ও ক্লান্তিতে বিপন্ন, তাকে কেন এমন মনোবেদনা দিতে হবে? এ স্কুলটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, জায়গা-জমি ও বিল্ডিংগুলো দান করেছেন, তিনি তো রাজনীতি করেন না। তার তো কোন অপরাধ বা অভিলাষ নেই। এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের দানশীল পরহেজগার মহীয়সী নারী তিনি। তার দাদা নানা যেমন ঐতিহ্যবাহী ব্যক্তিত্ব, তার পিতাও এক মহান ধর্মীয় ব্যক্তি। শতবর্ষী ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া আলিয়া তারই পিতৃপুরুষের স্মৃতিবহ প্রতিষ্ঠান। সমাজকল্যাণে, শিক্ষা উন্নয়নে তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য থেকেই তিনি নিজ সম্পদ ব্যয় করে নারী শিক্ষার প্রদীপ জ্বেলেছিলেন এই হোসনে আরা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাধ্যমে। কিন্তু কেন কারা সরকারের দফতরকে ব্যবহার করে এ উদ্যোগটিকে অপমান করার চেষ্টা করল? প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলেই এ ঘটনার প্রতিবিধান করতে পারেন।
বাংলাদেশের রাজধানীতে কত ধর্মের কত নেতা, মনীষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে রাস্তা আছে, আছে কত অখ্যাত-কুখ্যাত লোকের নামে স্থাপনা, কিন্তু এক দু’জন আলেম ও বুযুর্গের নামের রাস্তাগুলো রাখা যাবে নাÑ এধরনের হীন সিদ্ধান্ত কোন অশুভ শক্তি গ্রহণ করল তা সরকারকেই দেখতে হবে। এ বিষয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ বুকে আঘাত পেয়ে মুখ খুলছে। বিভিন্ন সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অনেকে প্রতিবাদ করে কর্মসূচি দিচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে : ‘ঢাকা সিটির বিভিন্ন স্থাপনা থেকে বিভিন্ন ইসলামী মনীষীদের নাম বাতিল করার সিদ্ধান্তকে দুরভিসন্ধি বলে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হযরত গোলাপ শাহ (রহ.) এর পাশের সড়ক, যা চকবাজার পর্যন্ত পৌঁছেছে সেই সড়কের নাম থেকে বিশ্ববরেণ্য বুজুর্গ ও আলাহর ওলি হযরত হাফেজ্জী হুজুরের নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত দুরভিসন্ধি। এ চক্রান্ত থেকে সরে না আসলে আল্লাহর ওলিদের বদদোয়ায় তাদের ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। সড়কটির নাম হযরত হাফেজ্জী হুজুর সড়ক থাকলে কারো কি কোন ক্ষতি হবে? না হলে তা বাতিলে এত মরিয়া কেন, জাতি জানতে চায়। তৎকালীন সময়ে যারা হুজুরের নামে সড়কটির নামকরণ করেছিলেন তারা অত্যন্ত যৌক্তিক কারণেই নামকরণ করেছিলেন। এখন যারা বুজুর্গ আলেম-ওলামাদের নাম মুছে দিতে চায় তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যেতে পারেন। মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, মসজিদের নগরী ঢাকাতে আলেম বা বুজুর্গ ব্যক্তিদের নামে নামকরণটাই স্বাভাবিক। যারা মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির শহরে পরিণত করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী মূর্তি স্থাপনের পক্ষে কথা বলেছেন হযরত হাফেজ্জী হুজুরের নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে তারাই এ চক্রান্তে জড়িত। তাদের নিজেদের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত।’
নানা ঘটনায় মানুষের মনে যে আঘাত দেয়া হচ্ছে, হৃদয় বিদারক নানা কর্মকা-ে বিশ্বাসী গণমানুষের হৃদপি-ে যে রক্তপাত ঘটানো হচ্ছে আর কিছু না হোক আল্লাহর গযব আসতে বেশি সময় লাগবে না। প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই নির্মম। বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘন আল্লাহ পছন্দ করেন না। আমাদের ভাবতে কষ্ট হয়, কী করে সম্ভব বাংলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুফতি মুহাদ্দিস, জাতীয় মসজিদের প্রথম খতিব, এদেশের প্রবীণ আলেমদের অনেকের শিক্ষক আল্লামা মুফতি আমিমুল এহসান মোজাদ্দেদী বরকতী (পুরান ঢাকার সূত্রাপুর মুফতিয়ে আজম মসজিদ সংলগ্ন স্থানে যার মাজার) আর বাংলার শতায়ু কিংবদন্তী ওলীয়ে কামেল তিনবারের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (কামরাঙ্গির চর আশরাফাবাদে যার মাজার) তাদের নামে দু’টি রাস্তার নাম একটি মহলের গাত্রদাহের কারণ হয়ে গেল? রহমত, বরকত ও খোদায়ী নিরাপত্তার কি তাদের প্রয়োজন নেই। তারা কি মসজিদ নগরীকে মূর্তির নগরী বানানোর পক্ষের লোক। ৯২ ভাগ মুসলমানের উচ্চ বিচারালয় ও জাতীয় ঈদগাহ ৬৫ বছর ধরে যখন ইনসাফের প্রতীক, দাঁড়িপাল্লা, জাতীয় ফুল শাপলা ও বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে, তখন এখানে গ্রীক দেবী ও টাইটান থেমিসের বিকৃত মূর্তি স্থাপনে যারা কোমরে গামছা বেঁধে নেমেছে, তাদের একটি অংশই কি চক্রান্ত করে দেশে অশান্তির বীজ বপন করছে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীকেই দেখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।