Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশে ভারত-চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই যুক্তরাষ্ট্র বার্নিকাট

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ভারত ও চীনের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের ‘উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন লক্ষ্য’ অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। গতকাল সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি একটি মিথ দূর করতে চাই, এদেশে ভারত কিংবা চীনের সঙ্গে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) কোনো প্রতিযোগিতা নেই। তিন দেশের সবাই মিলে সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের লক্ষ্যগুলোকে ভাগাভাগি করে নিই।
ভূ-রাজনীতি ও কৌশলগত দিক থেকে সাম্প্রতিক সময়ে পূর্বমুখী বাংলাদেশের সঙ্গে এশিয়ার দেশ চীন ও প্রতিবেশী ভারতের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। পরাশক্তি হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র ভূ-প্রকৃতিগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা বাংলাদেশে প্রভাব কমার আশঙ্কায় চীন ও ভারতের সঙ্গে এক ধরনের প্রতিযোগিতায় রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। এই প্রেক্ষাপটের মধ্যে ‘বাংলাদেশে চীন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র : প্রতিযোগিতামূলক সহযোগিতার বিকাশ সাধন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইইউবি) গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রাম।
আইইউবি মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে খুবই আগ্রহী। যখন মার্কিন কোনো কোম্পানি নতুন কোনো বাজারে প্রবেশ করে, তখন তারা বড় আকারের দক্ষতা, পুঁজি এবং প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়।
অপর্যাপ্ত কানেকটিভিটির কারণে বাংলাদেশ ও এর প্রতিবেশীরা ব্যবসায়িক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মন্তব্য করে বার্নিকাট বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ এবং আঞ্চলিক উৎপাদন ক্ষেত্র হওয়ার সব অর্থনৈতিক ভিত্তি বাংলাদেশের রয়েছে। গত দুই দশক ধরে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ ধরে রাখা, বড় আকারের যুব ও নির্ভরযোগ্য শ্রমশক্তি, সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের বিশাল বাজার, সৃজনশীল বেসরকারি খাত এবং দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কৌশলগত স্থানে এর অবস্থান এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়।
সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক উৎপাদন আরও বাড়ানো এবং সমন্বিত জ্বালানি গ্রিডের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে বলে পরামর্শ দেন বার্নিকাট।
সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটি বিমসটেকের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার বিষয় জানিয়ে সংস্থাটির বাংলাদেশ পরিচালক তসেরিন বলেন, সেটা করার জন্য সদস্যগুলোতে নানা ধরনের সম্মেলন ও সেমিনার আলোচনার আয়োজন আমাদের রয়েছে। সমন্বয়ের জন্য আসিয়ান ও সার্কের সঙ্গেও কাজ রয়েছে আমাদের।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইইউবির খ-কালীন শিক্ষক ড. সালেউদ্দীন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান রাশেদ চৌধুরী, ভিসি অধ্যাপক ওমর রহমান, গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রামের প্রধান ইমতিয়াজ এ হোসেন বক্তব্য দেন।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ