Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এপ্রিলে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

সার্ক টিকিয়ে রাখতে হবে : ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিবকে শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:০৭ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

প্রতিরক্ষা চুক্তিতে আগ্রহ : তিস্তার পানি এবং গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পে সময় চেয়েছে দিল্লী
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিকে ঢাকা এবং দিল্লীর কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে হচ্ছে না তিস্তার পানি বন্টন এবং গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি। এ দুই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঢাকার কাছে আরো সময় চেয়েছে নয়াদিল্লী। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে ভারত চতুর্থ লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণের ঘোষণা দিবে। তবে তিস্তার পানি বন্টন ও গঙ্গা ব্যারেজ চুক্তি স্বাক্ষর না করলেও ভারত চায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এজন্যও প্রায় চার হাজার কোটি টাকার (৫০ কোটি ডলার) ঐচ্ছিক ঋণ দিতে চায় ভারত।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাতের পর তার কার্যালয়ের উপ-প্রেস সচিব এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধ্বে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যেতে পারেন।
এর আগে বিকাল ৫টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক করেন সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি এম নজরুল ইসলাম এবং ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আমাদের সংসদ রিপোর্টার জানান, বৈঠক শেষে উপ-প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাতে ভারত সফর ছাড়াও সার্ক ও এ অঞ্চলের কানেক্টিভিটি (যোগাযোগ) আরও জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। জয়শঙ্কর সার্কের বিষয়টি উত্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, সার্ক টিকিয়ে রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে সার্কভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসন্ন ভারত সফর ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের আমন্ত্রণে এর আগে চীনের বেইজিং থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে জয়শঙ্কর ঢাকা পৌঁছান। সফরে তার অবস্থানস্থল লা মেরিডিয়ান হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তিনি বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় লা মেরিডিয়ান হোটেলে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার সহযোগিতা নিয়ে রূপরেখা চুক্তি করার বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। আজ শুক্রবার সকালে দিল্লীর উদ্দেশে তিনি ঢাকা ছাড়বেন বলে কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকালের সাক্ষাতে পররাষ্ট্র সচিব ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর দ্বি-পক্ষীয় সকল বিষয়ে ভারত সরকারের মনোভাব তুলে ধরেন। বিশেষ করে পানি ইস্যূতে প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লী সরকারের বার্তা পৌছে দেন। প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারত সরকারের আন্তরিকতার কমতি নেই। এই বিষয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ একাধিক গোষ্ঠীকে ইতিবাচক ভূমিকায় আনতে আরো একটু সময় প্রয়োজন। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। গঙ্গাবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত চতুর্থ কিস্তির এলওসি ঋণের ঘোষণা দিবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। এতে করে আগামী সফরে প্রধানরমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন। যা বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো সম্মাননা।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর সকল বিষয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এপ্রিলের প্রথমার্ধে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরের সূচি সাজাতে সম্মত হন। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য সম্মত হয়েছে দুই পররাষ্ট্র সচিব। প্রধানমন্ত্রীর সফরে এই সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে চতুর্থ এলওসির আওতায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন, সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নয়নসহ একাধিক খাতের কমবেশি ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের একটি তালিকা দিয়েছে ঢাকা।
সুত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের উপায় সংক্রান্ত চুক্তিসহ বেশ কিছু চুক্তিরও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যেসব সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের কয়েকটি পরিবারকে আনুষ্ঠানিক সম্মাননা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ১ হাজার ৭০০ ভারতীয় সৈন্য প্রাণ দিয়েছেন বলে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন কর্মকর্তারা বলছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক আলাদা সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এজন্য ভারত থেকে সমরাস্ত্র কিনতে দিল্লীর প্রস্তাবিত প্রায় চার হাজার কোটি টাকার (৫০ কোটি ডলার) ঐচ্ছিক ঋণ নিতে ঢাকার কোনো আপত্তি নেই বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।  
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূলত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সফল ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশ ২টি চীনা সাবমেরিন কেনার পরে ভারত নড়েচড়ে বসে এবং তারপরই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের সামনে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
সূত্র জানায়, পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশ অনেকবার বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ কারো সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। কিন্তু এবার বাংলাদেশ ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে চুক্তি করা মানে ভারত থেকে অস্ত্র কেনার বাধ্যবাধকতা নয়। বাংলাদেশ প্রয়োজন হলে ভারত থেকে এ ঋণ নিয়ে সমরাস্ত্র কিনতে পারবে।  
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারত সফরে গেলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতি ঘটে। ওই সময়ে ঘোষিত ৫০ দফার যৌথ ইশতেহারকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের রোডম্যাপ হিসেবে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফরের বিষয়ে কিছুদিন পুর্বে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর’। আর ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলে গিয়েছিলেন, ভারতের সরকার এবং জনগণ শেখ হাসিনার সফরের জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে।
বর্ষীয়ান কূটনীতিক এবং সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিরাট চ্যালেঞ্জের। এখানে সম্ভাবনার সুযোগের পাশাপাশি পা পিছলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর। কেননা বড় একটি রাষ্ট্রের পাশে ছোট একটি রাষ্ট্র মাথা ঊঁচু করে টিকে থাকা সহজ কথা নয়। তবে দুই দেশের সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক লাভজনক হতে হবে। উন্নয়নে জন্য জন-অনুমোদিত পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ নয়াদিল্লিকে বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। বিষয়টি ইতিবাচক এবং আমাদের জন্য লাভজনক। কেননা পূর্ব ভারতের উন্নতি মানে বাংলাদেশের উন্নতি। পূর্ব ভারত বাংলাদেশের পাশেই অবস্থিত। ওই অঞ্চলের আর্থিক ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে বাংলাদেশের বাণিজ্য উন্নয়ন ঘটবে। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন ঘটেছে। সামনে তিস্তাসহ পানি নিয়েও সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করি। সম্প্রতি সময়ে দুই দেশের যোগাযোগ খাতে অনেক উন্নতি ঘটেছে। এটাও ইতিবাচক। কেননা মানুষের আনাগোনার মধ্যেই রচিত হয় সু-সম্পর্ক। মানুষে-মানুষেই দুই দেশের সংযোগ ঘটায়, হƒদ্যতা বাড়ায়, সু-সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।   
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথমে গত বছরের ৩ ও ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লী যাবেন বলে জানা যায়। তারপর তা পরিবর্তন করে ১০ ও ১১ ডিসেম্বর ঠিক হয়। এরপর এ তারিখ ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর বলে শুনা যায়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সে সফর হয়নি। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর আসেন বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি কথা বলেন। সে সময় ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার ভারত সফর হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। তবে স্থগিত হওয়ার কথা বাংলাদেশ ও ভারত কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৫ ও ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় সফরের ফিরতি সফর হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সফরে যাবেন। তার দিল্লী সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ৩ জানুয়ারি পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতামতের পর প্রধানমন্ত্রীর সফরে অন্তত ২০টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও সম্মতিপত্র সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।

এদিকে বৈঠক শেষে রাত ১১টায় পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই বৈঠকটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের এজেন্ডা সেটিংয়ের। আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি, মিলিটারি কো-অপারেশন, তিস্তা পানিবন্টন, বর্ডার কিলিং বন্ধ ও গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্প নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সফর অত্যন্ত সফল হবে বলেও আশা করছেন পররাষ্ট্র সচিব।
এছাড়া তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী।



 

Show all comments
  • অহনা ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:২২ এএম says : 0
    এই সফরে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও সিমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৩:৩৯ পিএম says : 0
    আশা করি তিস্তা চুক্তি হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ