Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারাগার থেকে ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন সাধারণ বন্দিরা

২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে কারা সপ্তাহ-১৭

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শিগগিরই সাধারণ কারাবন্দিরা পরিবারের লোকজনের সাথে ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কারা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন একথা বলেন।
কারা মহাপরিদর্শক জানান, গত বছর কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধনকালে বন্দিদের ফোনে কথা বলার সুযোগ চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় কারাবন্দিদের ফোনে কথা বলা সংক্রান্ত প্রিজন লিংক প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগামী বৈঠকে এর চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আমরা এই প্রকল্পটি চালু করবো। আগামী ১ মাসের মধ্যেই এটি কার্যকর করা যাবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র সাধারণ বন্দিদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে। জঙ্গি এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এ সুযোগ পাবে না। যখন একজন আসামি কারাগারে আসবে তখন তার বিস্তারিত নথিপত্র তৈরির সময় নির্দিষ্ট দুটি ফোন নম্বর উল্লেখ থাকবে। যা শুধু বাবা-মা, স্ত্রী কিংবা সন্তানদের হতে হবে। তবে বন্দিরা যখন  ফোনে কথা বলবেন তখন  গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। কারাগারে একটি অসাধু চক্রের ফোনে কথা বলিয়ে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করার বিষয়টি স্বীকার করে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, উন্নত দেশগুলোতেও কারাগারে মোবাইল ও ড্রাগ প্রবেশ ঠেকানো যায় না। সে তুলনায় আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হয়। তবে নতুন এ সুবিধা চালু হলে অসাধু চক্রগুলো কারাগারে মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে অবৈধভাবে আয় করতে পারবে না। পাশাপাশি নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হবে।
বন্দিদের সংশোধন, সমাজে পুনর্বাসন এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৬ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পর সব কারা মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কারা সপ্তাহের সূচনা হবে। ওইদিন বেলা ১১টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। ৪ মার্চ পর্যন্ত পালিত হবে কারা সপ্তাহ। কারা মহাপরিদর্শক জানান, কারাগারে সেবার মান বৃদ্ধি, এটিকে সংশোধনাগারে রূপান্তরে আরো একধাপে এগিয়ে যাওয়া, কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজের উদ্দীপনা বৃদ্ধি, কারাগার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পরিবর্তন, কারা কর্মকর্তা-বন্দিও তাদের স্বজনদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সেতুবন্ধন সৃষ্টি, কারা কর্মচারীদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঠেকাতে ভূমিকা পালনে কারা সপ্তাহ ২০১৭ উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সারা দেশের ৬৮টি কারাগারে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সব কারাগারে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। কয়েকটি কারাগারে বন্দিদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কারা মেলার আয়োজন করা হবে। কারারক্ষী ও বন্দিদের নিয়ে বিশেষ দরবার, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কারারক্ষীদের নিয়ে বিশেষ প্যারেড ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে।
বন্দিদশা থেকে বের হয়ে আসামিরা যেন সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারেন সে ব্যাপারে কারা অধিদপ্তরের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে ইফতেখার উদ্দীন বলেন, বন্দিদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কারা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ