পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস ও উখিয়া সংবাদদাতা : কক্সবাজার সফরে আসা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি তৃতীয় দিনের মতো গতকাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তিনি উখিয়ার কুতুপালাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। কুতুপালাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি প্রথমে সেখানকার ১০ পুরুষ ও ১০ জন নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় জাতিসংঘ দূত মিয়ানমারে তাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের কথা শোনেন। এরপর নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন এবং সেখানেও রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের সচিব বাকী বিল্লাহ, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনসহ ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ইয়াং হি লি টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। বেলা ১২টার দিকে যান টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তিনি নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি সোমবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন। মূলত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমারের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও মঘদস্যুদের নির্যাতনের বিষয়টি সরেজমিনে শুনতেই তিনি বাংলাদেশে এই সফরে আসেন বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি ১২ দিন মিয়ানমার সফর করেছেন। সেখানে মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথেও তিনি কথাবার্তা বলেন বলে জানাগেছে।
ত্রাণ বিতরণ
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ফের ৩০০ পরিবারের মাঝে মালয়েশিয়া সরকারের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ত্রাণ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পরিবারের মাঝে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হয়েছে। এসব ত্রাণসামগ্রী দিয়ে রোহিঙ্গা পরিবারের দুই মাসের চাহিদা পূরণ হবে।
সূত্র জানায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণের জন্য মালয়শিয়ান সরকার ত্রাণসামগ্রীগুলো বাংলাদেশে পাঠায়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, কম্বল, চিকিৎসার সামগ্রীসহ প্রায় ৩৫ প্রকার পণ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।