পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডাল-পালা। ঢাকা পড়েছে গাছের পাতা। এবারে কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রাম ও নগরের বাড়িগুলোর আমগাছে মুকুলের বিপুল সমারোহ ঘটেছে। আমগাছগুলোতে মুকুলের ব্যাপক সমারোহ দেখে জেলার উদ্ভিদবিদরা বলছেন এবারে কুমিল্লা অঞ্চলে আমের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবারে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার কৃষি নির্ভর গ্রামগুলো ধান, পাট, সরিষাসহ নানা প্রকারের ফল ও সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ হলেও মধুমাসের ফল আম উৎপাদনে ততোটা এগিয়ে নেই। কারণ কুমিল্লায় কোন আম বাগান নেই। তবে গ্রামগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি আমগাছ রয়েছে। আবার শহরের পরিবেশ বড় বড় অট্টালিকায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লেও অনেক বাড়িতে ছোটবড় আম গাছের দৃশ্য দেখা যায়। অনেকের বাড়ির ছাদেও উন্নতজাতের আমগাছের দেখা মেলে। কুমিল্লা শহর ও বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে থাকা আমগাছগুলোতে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে বিপুল পরিমাণ মুকুল এসেছে। যেসব আমগাছে গত কয়েক বছরেও মুকুলের দেখা মেলেনি সেসব গাছের ডাল-পালা, পাতা মুকুলে ঢাকা পড়েছে। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকদের মনে-প্রাণে আনন্দ বইছে। অনেকেই মুকুল রক্ষার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছেন। কেউ কেউ গাছের যতেœ বেশ মনোযোগী উঠেছেন। কুমিল্লার কয়েকজন উদ্ভিদবিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমের মাস বলতে জ্যৈষ্ঠ মাসকে বোঝালেও কুমিল্লা অঞ্চলে সাধারণত বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে এখানকার আম হাট-বাজারে উঠে থাকে। সেই হিসেবে এবারে মাঘ মাসের শুরু থেকেই এখানকার আমগাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ বলে দিচ্ছে ব্যাপক ফলনের ইতিবাচক লক্ষণ। ফাল্গুন-চৈত্রে এসব মুকুল শেষ পর্যন্ত গাছে টিকে থাকলে কুমিল্লায় আমের বেশ ভালো ফলন মিলবে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার শহর এলাকার হাউজিং এষ্ট্রেট, গাংচর, চাঁনপুর, শুভপুর, সংরাইশ, সুজানগর, জগন্নাথপুর, বালুতুপা, নুরপুর, ছোটরা, কালিয়াজুরি, অশোকতলা, ধর্মপুর, শহরতলীর দূর্গাপুর, পাঁচথুবি, আমড়াতলি, কালিরবাজার, সদর দক্ষিণের চৌয়ারা, সুয়াগাজী, বিজয়পুর, ভুশ্চি, যুক্তিখোলা, গৈয়ারভাঙ্গা, বাগমারা, লালমাই, কোটবাড়ি, বরুড়ার বেলভুজ, তলাগ্রাম, ঝলম, খোশবাশ, দেওরা, পয়েলগাছা, শিলমুড়ি, চান্দিনার বাড়েরা, মাইজখার, জয়দেবপুর, দেবিদ্বারের ধামতি, গুনাইঘর, রাজামেহের, এলাহাবাদ, মুরাদনগরের জাহাপুর, যাত্রাপুর, রামচন্দ্রপুর, নবীপুর, কামাল্লা, শ্রীকাইল, ভাংগোরা, হোমনার ঘোরমোরা, নাগেরচর, চান্দেরচর, দাউদকান্দির সুন্দালপুর, বড়পাড়া, কড়িকান্দি, গৌরিপুর, পাঁজগাছিয়া, বিতিসর, বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর, ষোলনল, রাজাপুর, ময়নামতি, বাকশিমূল, ব্রাক্ষ্রণপাড়ার দুলালপুর, সাহেবাবাদ, শিদলাই, লাকসামের, গোবিন্দপুর, দৌলতগঞ্জ, বাইশগাঁও, নাঙ্গলকোটের মৌকারা, আদ্রা, বক্সগঞ্জ, বাঙ্গড্ডা, দৌলখার, পেরিয়া, জোড্ডা, চৌদ্দগ্রামের বাতিশা, কনকাপৈত, চিওড়া, হরিপুর, মিয়াবাজার, কাশিনগর, উজিরপুর, জোড়কানন, মুন্সিরহাট, শ্রীপুরসহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ন্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর ও আশ্বিনিজাতের আমগাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরূপ রঙ ছড়াচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।