Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি কেন?
স্বনামধন্য ওষুধ কোম্পানিগুলো নীরবে ওষুধের দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ওষুধের মূল্য ক্রমশ সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। গ্রাহকরা অসহায়। অথচ এ ব্যাপারে সরকারি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ক্যালবো ডি-এর দাম ছিল ১৫০ টাকা। দাম বেড়ে হয়েছে ২১০ টাকা। নিউরো-বি দাম ছিল ১৫০ টাকা। এখন বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা। ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মনে হয়। এদিকে সাধারণ গ্রাহকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
আবু জাফর ওবায়েদ
মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

রাস্তা পাকা করার আবেদন
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাধীন ছাতারপাইয়া-চিলাদীর পাকার মাথা (গোলাম ছারওয়ার মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন) থেকে তেমুহনী বাজার দিয়ে উত্তর মাহাতাবপুর হয়ে নোয়াখালী-কুমিল্লা জেলার সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা পাকা করা একান্ত প্রয়োজন। এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা কষ্টকর। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে যায়। নোয়াখালী উত্তর অঞ্চল ও কুমিল্লা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জন্য এই রাস্তা। এ অবস্থায় রাস্তাটি চৌমুহনী থেকে ছাতার পাইয়া দিয়ে চিলাদী-তেমুহনী বাজার হয়ে উত্তর মাতাহাবপুর-নোয়াখালী-কুমিল্লা জেলার সীমান্ত পর্যন্ত পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
এম জি হৃদয়
চিলাদী মুন্সীপাড়া,
ছাতারপাইয়া, নোয়াখালী।

বানানে ভুলের ছড়াছড়ি
ভাষার জন্য আমাদের ত্যাগ আবিশ্ব উদাহরণ। ভাবতেই বেশ পুলক জাগে মনে- নিজের ভাষাকে আমরা কতোটা ভালোবাসি! কিন্তু সে আত্মতৃপ্তিকে আঁতুরঘরেই মুখে নুন ঢেলে বধ করে কতিপয় সুবিধাভোগী-উদ্ধত-মূর্খ লোক। বাসে করে ফার্মগেট থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ঢুকতেই দৃষ্টি যখন আমাদেও শ্লাঘার বিশ্বনন্দিত স্থাপত্যকীর্তি সংসদ ভবন ছুঁই ছুঁই করতে থাকে, ঠিক তখনই প্রবেশ মুখের গোল চত্বরে দৃষ্টিতে বিষ ছুড়ে দেয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাশে ম্যুরালে লেখা বানান ভুলের নগ্ন প্রদর্শন ‘বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর’।
সরকারি-বেসরকারি সাইনবোর্ড এবং এই ধরনের সব রকমের পরিচয়জ্ঞাপক লেখার পেছনে কত শত শত কোটি টাকার মচ্ছব চলে তার কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই আমার। চুনোপুঁটি তো! কিন্তু সেইসব কপট-বাণিজ্যের উগরানো ভাষা-ত্রুটি আমার মতো দেশ নিয়ে, ভাষা নিয়ে গর্ব করা দেশবাসীকে যে দুঃখ ও খেদের হেমলক গেলায় তাতে বোধ করি কোনো সন্দেহ নেই। কর্তাব্যক্তিরা এসব লেখার কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শেষে বিল পরিশোধপত্রে সই করেই খালাস। কী লিখতে দেওয়া হয়েছিল আর কী লেখা হলো সেসব নজরদারির কোনো তোয়াক্কা করেন না কেউ। আমার ধারণা-যাঁরা এসব লেখার সঙ্গে জড়িত, হাতের কাছে বাংলা অভিধান থাকা সত্ত্বেও তাঁরা তা ছুঁয়েও দেখেন না।
শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি ফাইল খুব মন দিয়ে পড়েন এবং বানান ভুল পেলে ভর্ৎসনা করেন। তাঁরও কি নজর পড়ে না পিতার নামের পাশে এমন বানান ভুল।
মনজুর শামস
৬৬, আরকে মিশন রোড, গোপীবাগ,
ঢাকা-১২০৩।

বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল সারাদেশে একই নিয়মে প্রকাশ করা হোক
একজন শিক্ষার্থী জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেল কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪ পেল- ক্ষেত্রে বোঝা যাবে তার মেধা নি¤œগামী। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী জেএসসিতে জিপিএ-৩ পেল এসএসসিতে জিপিএ-৪ পেল এবং এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেল এতে বোঝা যাবে তার মেধা ঊর্ধ্বগামী। কাজেই যে শিক্ষার্থী অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ৫-৬ বিষয়ে খারাপ করে এবং বার্ষিক পরীক্ষা ২-৩ বিষয়ে খারাপ করে সে শিক্ষার্থীর মেধা ঊর্ধ্বগামী এবং তাকে প্রোমোশন দেয়া উচিত।
আমরা শিক্ষক, আমরা শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা ভেবেই কাজ করব। শিক্ষার্থীর ভুল ধরাই শিক্ষকের কাজ নয়। বরং শিক্ষার্থীর ঐ ভুলকে শুদ্ধ করে দেয়াই শিক্ষকের প্রধান এবং উত্তম কাজ। এখানে বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে, যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ে তাদের পাঠ্যবইগুলো পড়ার জন্য তারা আরো একটি বছর পূর্ণ সময় পেয়ে থাকে।
এছাড়া যেহেতু নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে সেহেতু তাদের প্রোমোশন না দিলে তারা অনিয়মিত হয়ে যায়। যা তাদের জীবনের জন্যে বিরাট ক্ষতি। কাজেই সেইদিকে শিক্ষকদের অবশ্যই নজর দিতে হবে। আরেকটি কথা হচ্ছে- বড় বড় শহরে বিশেষ করে ঢাকায় যেসব নামিদামি স্কুল আছে তারা তো ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই খুব ভালো মেধার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে থাকে।
ঐ শিক্ষার্থীরা যদি বার্ষিক পরীক্ষায় খারাপ করে তাহলে তাদের ব্যাপারে বিশেষ বিবেচনায় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিষয়টির প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ আতিকুর রহমান খান
সহকারী প্রধান শিক্ষক
উজান গোবিন্দী বিনাইরচর উচ্চ বিদ্যালয়,
দুপ্তারা, আড়াইহাজার,
নারায়ণগঞ্জ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন