Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব মোদিকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে -অশোক গেহলট

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অশোক গেহলট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মর্যাদা পুনরুদ্ধারের আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালালেও বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
অশোক গেহলট পিটিআইকে বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর জ্যোতি ছিল ভিন্ন ধরনের- যেখানে মোদির জ্যোতি ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। গান্ধীকে জনগণ প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু তারাই আবার তাকে গ্রহণ করে নেয়’। তবে তিনি প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির তুলনা করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন,
‘মোদি সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তা তিনি খুইয়েছেন। মুরলি মনোহর যোশী ও এল কে আদভানীর মতো নেতাদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে’।
রাজস্থানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি কর্মীদের নিজেদের শ্বাসরুদ্ধ বলে মনে হয়।
গেহলট বলেন, ‘হতাশা তার মনের গভীরে গেথে গেছে। তিনি আরো যোগ করেন যে, মোদি তার হারানো মর্যাদা পুনরুদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু তার বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে’।
আক্রমণ আরো শাণিত করে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস কখনও ক্ষমতা নিয়ে মাথা ঘামায় না। কিন্তু তিনি মনে করেন, বিজেপি উত্তর প্রদেশে সেই ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে যা তারা বরণ করেছে দিল্লী ও বিহারের সংসদ নির্বাচনে’।
‘আসলেই মোদি মিথ্যা বলতে ওস্তাদ’ উল্লেখ করে গেহলট বলেন, তিনি ধনী ও দারিদ্র্যের মাঝে বৈষম্য তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। ‘একনায়কতন্ত্র’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দাবি করে গেহলট বলেন, মোদির বর্তমান ভাবমর্যাদার চিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের মতোই।
‘৩০ বছর পর একটি দল নিরঙ্কুশ সমর্থন পেয়েছে। মোদি যখন ক্ষমতায় এলেন তখন দেয়াল লিখন ছিল, এ সরকার ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে এবং সব রাজনৈতিক দলে একথাই আলোচিত হত’। গেহলট বলেন, মাত্র আড়াই বছরেই মোদির ভাবমর্যাদা মার খেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক ভাষার সমালোচনা করে গেহলট অভিযোগ করেন, মোদি হচ্ছেন একজন কর্পোরেটবান্ধব এবং রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ে জাহান্নামে নিপতিত স্বার্থান্বেষী মানুষ।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনি কখনও কোনো প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন এভাবে কথা বলতে, একটি বিশেষ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বারবার হাততালি আদায় করতে?’।
বিক্ষোভ-আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে গেহলট বলেন, নোট নিষেধাজ্ঞার পর দেশজুড়ে এক অনিশ্চিত পরিবেশ বিরাজ করছে। তার দাবি, ‘ব্যাংক ও নোটের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রচ-ভাবে মার খেয়েছে। নোট ব্যান কোনো ইতিবাচক ফল আনেনি। পুরনো ১ হাজার রুপির নোটের বিপরীতে ২ হাজার রুপির নোট প্রবর্তনের কোন যৌক্তিক কারণ নেই। আয়কর বিভাগ ও ব্যাংকে ব্যাপক দুর্নীতি বেড়েছে’।
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী স্বীকার করেছেন যে, সপা-কংগ্রেস গাঁটছড়া দলের কর্মীদের জন্য ছিল অপ্রত্যাশিত অগ্রগতি। সূত্র : ডেকান হেরাল্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ