পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। বৈঠককালে নির্বাচনকালীন পরিবেশ সম্পর্কে সহায়ক সরকারের কথা উল্লেখ করেছে বিএনপি। একই সাথে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন হলে ৫ জানুয়ারির ভোটবিহীন নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বৈঠকে উপস্থিত দলটির শীর্ষ নেতারা।
গতকাল বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে গুলশানের কার্যালয়ে আসেন বার্নিকাট। বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে।
বৈঠকের পর মার্শা ব্লুম বার্নিকাট সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে দেখা করা এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবন করা একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় আমি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছি। সাধারণভাবে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকের শেষ দিকে কিছু সময় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বার্নিকাটের একান্ত বৈঠক হয়।
রাষ্ট্রদূত তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করেছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথেও আলোচনা অব্যাহত রাখব। লিখিত বক্তব্য পাঠের সময়ে রাষ্ট্রদূতকে হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।
প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নতুন নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলাসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনায় উঠেছে বলে নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে।
আলোচনায় আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে দলের চিন্তাভাবনা অর্থাৎ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টিও রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেছে জানা গেছে। রাষ্ট্রদূত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ব্রিফিং করা হয়নি।
সিনিয়র এক নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিএনপি এ নির্বাচন অংশ নিতে কীরকম পরিবেশ চায়, তা ব্যাখ্যা করেছে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না হলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশও করেছে তারা।
বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূতের সাথে দূতাবাসের পলিটিক্যাল সেশন চিফ আন্দ্রে রডরেগিজ ও পলিটিক্যাল অফিসার ড্যান রেকবও ছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এটি প্রথম বৈঠক। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি বার্নিকাট বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ২০১৪ সালের ২২ মে বার্নিকাটকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।