Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

এমপিরা চাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট!

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অনিয়ম থাকায় ২০ জেলা ও উপজেলায় কার্যক্রম স্থগিত
পঞ্চায়েত হাবিব : বর্তমান সংসদে অনেক সদস্য রয়েছেন যারা ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু অনেক এমপি রয়েছেন যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়েও স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর তারা এখন মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা একদিকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন; অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাপ দিচ্ছেন তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে। নীলফামারী-৩ আসনের এমপি গোলাম মোস্তফা এবং নাটোর-১ আসনের এমপির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে নাটোরের লালপুর উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ের সময় স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদ উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বের করে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করেন। আরো কয়েকটি জেলায় একই ধরনের ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে। নাটোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল রউফ বলেন, আবুল কামাল আজাদ মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি অনলাইনে আবেদন করে আমাদের জানিয়েছেন। গোলাম মোস্তফা মুক্তিযুদ্ধ করেননি জানিয়ে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সচিবকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জেলা কমান্ডার মো: ফজলুল হক এ সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে সব কার্যক্রম বন্ধ করেছে আদালত। জানতে চাইলে নাটোরের এমপি আবুল কালাম আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, অমুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই। কোনো এমপি এখন মুক্তিযোদ্ধা হতে চাইলে পাবে না। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা খান বলেছেন, প্রশাসনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ২০টি জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম স্থগিত করেছে আদালত। যেসব জেলায় কোরাম সঙ্কটের কারণে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত করেছে আদালত সে জেলাগুলো হচ্ছে, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঝালকাঠি ও সিলেট, রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়, নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সৈয়দপুর উপজেলা, যশোরের চৌগাছা ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়, বরগুনার বেতাগীতে ও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা।
মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর যাচাই-বাছাইয়ে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটিতে নিজদের নাম অন্তর্ভুক্তি করতে প্রভাব খাটাচ্ছেন সরকারদলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা। সরকারদলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দিতে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাদের লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স না হলেও এবার যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ততে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাইয়ে সরকারদলীয় এমপি ও নেতারা প্রভাব বিস্তার করছে এমন অভিযোগ স্বীকার করেছেন নাটোর জেলার ডিসি ও কয়েকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স হয়নি এবং লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকা এবং গেজেটে নাম না থাকলেও সারাদেশে সরকার দলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ততে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। নাটোরে লালপুর উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ের সময় স্থানীয় সরকারদলীয় এমপি আবুল কালাম আজাদ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে বের করে দিয়ে নিজের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এ ঘটনায় লালপুর উপজেলায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সচিবকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
নীলফামারী-৩ আসনের সরকারদলীয় এমপি গোলাম মোস্তফা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রশাসনের মাঝে প্রভাব বিস্তার করছেন এমন অভিযোগ দিয়েছেন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেছেন, এমপি কখনো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এ ঘটনায় জলঢাকা উপজেলায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সচিবকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জেলা কমান্ডার মো: ফজলুল হক সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে সব কার্যক্রম বন্ধ করেছে আদালত।
এদিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার আবদুল মালেককে বাদ দিয়ে ডেপুটি কমান্ডার মো: মজিবুল হক মিয়াকে কমিটিতে রাখা ঘটনায় গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আবদুল মালেক। রিট আবদুল মালেক বলেন, আদালত পুরো গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে ওই গেজেট কেন অবৈধ হবে না তা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপ-সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডেপুটি কমান্ডারের কাছে জানতে চেয়েছেন। যশোরের চৌগাছা ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ওই দুই উপজেলায় গঠিত কমিটি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কমিটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদিদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের পর আইনজীবী হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই দু’টি উপজেলায় গঠিত কমিটিতে থাকা সভাপতি অন্য উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় রয়েছেন। অথচ মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মনোনীত সভাপতি বা সদস্যকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে। বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাইরের লোক সভাপতি এবং যুদ্ধকালীন কমান্ডার বাদ দিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন, কোরাম সঙ্কটের কারণে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার বিবিচিনি, বেতাগী সদর ইউনিয়ন, পৌরসভা, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার কাজিরাবাদ, সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের অনলাইনের আবেদন যাচাই-বাছাই এবং ৯ ফেব্রুয়ারি এক তালিকাভুক্ত ও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত শুনানি এবং একইভাবে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাচাই-বাছাই ও অভিযোগের নিষ্পত্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই কমিটি ইতোমধ্যে তাদের নোটিশ দিয়েছে। ঢাকার কাকরাইল থেকেও কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি তালিকাভুক্ত ৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। একই অভিযোগে ইতোমধ্যে যশোরের চৌগাছাসহ একাধিক উপজেলায় যাচাই-বাছাইয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারিসহ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করতে গত ১২ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গঠন করা হয় ৪৮৮টি উপজেলা ও ৮টি মহানগর কমিটি। এই কমিটি কাজ শুরু করে গত ২১ জানুয়ারি। কোথাও কোথাও এই কমিটিতে পরিবর্তন আনছে মন্ত্রণালয়। কারণ, একাধিক কমিটির বিরুদ্ধেই অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। কমিটিতে অমুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন এমন অভিযোগও কারো কারো। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য এরই মধ্যে অনলাইনে জমা পড়েছে প্রায় দেড় লাখ আবেদন। এ ছাড়া প্রতিদিনই আবেদন আসছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘মুক্তিযোদ্ধা’- এর সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এদের মধ্যে যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যেসব বাংলাদেশী পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যেসব বাংলাদেশী বিশিষ্ট নাগরিক বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীনে কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগহণ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সাথে সম্পৃক্ত এমএনএগণ ও এমপিএগণ (গণপরিষদ সদস্য), পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিত নারীগণ (বীরাঙ্গনা), স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ এবং দেশ ও দেশের বাহিরে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশী সাংবাদিকগণ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়বৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধকালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিক্যাল টিমের ডাক্তার, নার্স ও সহকারীবৃন্দ রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার বয়স ২৬-০৩-১৯৭১ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ইনকিলাবকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গত ২১ জানুয়ারি কাজ শুরু করেছে। অমুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই। কমান্ডার বা যিনি অভিযুক্ত, তিনি যাচাই-বাছাই কমিটির সাতজনের মধ্যে একজন সদস্য। আর প্রত্যেক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার হচ্ছে উন্মুক্ত প্রক্রিয়ায়, অর্থাৎ সবার সামনে। এর মধ্যে উপস্থিত একজন ব্যক্তিও যদি আপত্তি তোলেন, তবে অভিযুক্তকেই প্রমাণ করতে হবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা। তাকে প্রমাণ করতে হবে, তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন, কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তার কমান্ডার কে ছিলেন? তার সহযোদ্ধা কে ছিলেন? কার নেতৃত্বে যুদ্ধ এ ধরনের জবাব সঠিকভাবে দিয়ে কমিটি ও উপস্থিতদের সন্তুষ্ট করতে পারলেই তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা খান ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা প্রশাসক বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা চাপে রয়েছেন। এমপিরা প্রভাব বিস্তার করতে চান। কিন্তু পারছেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ