Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তৈরি পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার ; সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ বেশ কিছু দেশ পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য স্থায়ীভাবে দারিদ্র্যমুক্তির মাধ্যমে একটি ক্ষুধামুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। দেশের একটি লোকও ভিক্ষা করবে না, না খেয়ে থাকবে না। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য বেগম আখতার জাহানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার আমার নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত একটি দারিদ্র্য বিমোচন মডেল। এটি ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবশিষ্ট ১ কোটি ৮০ লাখ লোককে সম্পৃক্ত করে ৩ কোটি মানুষের জন্য ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর একনেক সভায় ৮ হাজার ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য স্থায়ীভাবে দারিদ্র্যমুক্তির মাধ্যমে একটি ক্ষুধামুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। দেশের একটি লোকও ভিক্ষা করবে না, না খেয়ে থাকবে না। যাতে সবাই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।
সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ বেশ কিছু দেশ পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, রফতানি বাণিজ্যের গুণগত পরির্বতন ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করতে রফতানি নীতি ২০১৫-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, চীন, ভারত প্রভৃতি দেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। রফতানিবান্ধব নীতি ও সফল বাণিজ্যিক অর্থনীতির কারণে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত এ প্রবেশাধিকার দিচ্ছে এবং সুবিধা বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আলহাজ বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি।
গোলাম দস্তগীর গাজীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিদ্যমান বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকার নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নে মাস্টার প্লান প্রণয়ন করা হয়েছে। বিমানবন্দরে নিরাপদে বিমান চলাচলের জন্য বিদ্যমান রানওয়ের ওপর এসফল্ট ওভারলের মাধ্যমে রানওয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যমান টেক্সিওয়ে রি-কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে টেকশিওয়ের ক্যাটাগরি উন্নয়নসহ লাইটিং সিস্টেম উন্নীত করা হয়েছে। এরফলে সুপরিসর বিমানের নিরাপদ চলাচল ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাইকার অর্থায়নে বিমানবন্দরগুলোর সেফটি ও সিকিউরিটি ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে গৃহিত প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিকিউরিটি সংক্রান্ত ৭টি ইটিডি, ১টি এন্টি-এক্সপসিভ কন্টেইনার, ১৯টি এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম ও ১টি ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন সংস্থাপন করা হয়েছে। শাহ আমানত বিমানবন্দরের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি রাডার স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ভিডিওআর ও ডিএমই সংস্থাপন করা হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবশিষ্ট ৪টি ডুয়েল ভিউ হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্যানিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপক সংক্রান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বরিশাল বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরের জন্য ফায়ার ভেহিক্যাল ক্রয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করে সুপরিসর বিমান চলাচলের লক্ষ্যে বিদ্যমান রানওয়ে সম্প্রসারণ ও এর সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ লাইটিং সিস্টেম উন্নয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হযরত শাহ-আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি ও রফতানি কার্গো এলাকায় ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কার্গো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার উদ্দেশে কার্গো হ্যান্ডলিং সেমি-অটোমেশন করা হয়েছে। এই বিমানপবন্দর থেকে উড্ডয়নকারী বিমানে বহনকারী কার্গো মালামাল স্ক্যানিং করার জন্য রফতানি কার্গো ভিলেজে ৪টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিমানে ফুয়েল নেয়ার জন্য রি-ফুয়েলিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য রানওয়ে সুইপার কেনা হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো শেড নির্মাণের মাধ্যমে কার্গো ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো বিমানের পার্কিং এরিয়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ