পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ড. আজমত উল্লাহ খান সম্পাদিত সিয়াসি তাকদির নামে ভারত থেকে প্রকাশিত পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিরানার তবলিগ জামাতের জিম্মাদার সাথী হাফেজ মোহাম্মদ রেদোয়ান আনসারী সাহেব তবলিগ জামাতের আমির মাওলানা সা‘আদ সাহেব কান্ধলভির তরফ থেকে দারুল উলুম দেওবন্দের মোহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী সাহেবের কাছে পাঠানো একটি চিঠি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
চিঠিতে তিনি সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যে, তার তরফ থেকে সাইয়্যাদেনা মুসা আ.-এর বিষয়ে বয়ানকৃত যে সমস্ত বিষয়ে আপত্তি আছে তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ রুজু হচ্ছেন বা প্রত্যাবর্তন করছেন। ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ এর উপর আমল করবেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, মাওলানা সা‘আদ সাহেবসহ তবলিগের জিম্মাদার অনেকেই শামিলী জেলার কসবা কান্দালার অভিবাসী।
হাফেজ মোহাম্মদ রেদওয়ান আনসারী সাহেব সংবাদ মাধ্যমে চিঠির ফটোকপি দিয়ে একথাও বলেন যে, দারুল উলুম দেওবন্দ এবং তবলিগি মার্কাজ উভয়ই আমাদের সম্মানিত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। উভয়ের মধ্যে কোনো একটির ক্ষুদ্র ক্ষতিও পুরো উম্মতের জন্য অনেক বড় ধ্বংসের কারণ।
উম্মতের দায়িত্ববানদের কাছে গুজারিশ বা অনুরোধ যে, দুই বড় দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের মাসাআলার মাঝে উভয় প্রতিষ্ঠানেরই সম্মান বজায় রাখেন। এমন কোনো কাজ না করা যাতে বিরোধীরা শক্তিশালী হয়ে যায়।
বর্তমানে চার দিক থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের উপর হামলা হচ্ছে। শয়তানি কর্মকা-ের ঢোল পিটানো হচ্ছে। যদি আমাদের কোনো মাসআলা থাকে, তবে তা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে ঠিক করে নেয়া দরকার। এই বিষয়ে প্রোপ্রাগা-া করা সমূহ অনুচিত। গতকাল ঢাকার দায়িত্বশীল তবলিগি পুরনোসাথী সংবাদপত্রে প্রেরিত বিবৃতিতে মাওলানা সাআদ সাহেবের এ চিঠির ফটোকপি প্রেরণ করেন।
মাওলানা সা‘আদ সাহেবের চিঠির অনুবাদ
আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
হযরত মাওলানা আবুল কাসেম নোমানী সাহেব দা.বা.
আশা করি ভালো আছেন। হযরতের চিঠি পেয়েছি। যেখানে বান্দাকে (আমাকে) এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, কোনো প্রকার ব্যাখ্যা বা যুক্তি ছাড়াই মূসা আ.-এর বিষয়ে বয়ানসমূহ থেকে রুজু/প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
দারুল উলুম দেওবন্দের উলামায়েকেরাম হযরতদের উপর আমার পরিপূর্ণ আস্থা আছে। সাইয়্যাদেনা হযরত মূসা আ. সম্পর্কিত আমার সমস্ত প্রশ্নবিদ্ধ বয়ানসমূহ থেকে কোনো রকম ব্যাখ্যা ও যুক্তি ছাড়াই আমি প্রত্যাবর্তন করছি। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে বয়ান করার সময় সম্পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা শান্তি ও রহমত বর্ষণ করেন।
ফাকাতওয়াস্সালাম
৪ জমাদিউল আউয়াল, বান্দা মোহা: সা‘আদ কান্দলভি,
২ ফেব্রুয়ারি। বাংলাওয়ালী মসজিদ বস্তি হযরত নিজামুদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।