পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এহসান আব্দুল্লাহ : ‘তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়-গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়।’ এভাবেই নিমন্ত্রণ কবিতার মাধ্যমে তিনি কাছে টেনে নিতে চান সবাইকে। বাংলার শান্ত প্রকৃতির নদীর বয়ে চলা স্রোতের মতোই তার এ আহŸান। কবি জসীম উদ্দীন, যিনি বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত পল্লীকবি হিসেবে। তাঁর কবিতার পংক্তিমালায় তিনি বরাবরই তুলে এনেছেন বাংলার প্রকৃতি, মানুষের চিরায়ত জীবনযাত্রা। পুরো নাম জসীম উদ্দীন মোল্লা হলেও তিনি জসীম উদ্দীন নামেই পরিচিত। নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট কবির শ্রেষ্ঠ দু’টি রচনা। ব্যক্তিগত জীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। প্রেসিডেন্টস এওয়ার্ড ফর প্রাইড অফ পারফরমেন্স (১৯৫৮), একুশে পদক (১৯৭৬), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৮) মরণোত্তর, ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট ডিগ্রি প্রাপ্ত হন ১৯৬৯ সালে। ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ বাংলা সাহিত্যের এ মহান নক্ষত্রের অন্তিম অবসান ঘটলেও তিনি আজও মানুষের মনের মাঝে দখল করে রেখেছেন এক বিশেষ স্থান। এবারের বই মেলায় দেখা গেল তেমনি দৃশ্য। বই মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে পলাশ প্রকাশনী নিয়ে এসেছে শুধুমাত্র তার রচনাবলী নিয়ে একক স্টল। এখানে তারা পাঠকদের জন্য রেখেছে পল্লীকবির ৫৫টি বই ও কবির আরেক সাহিত্য সহচর দিনেশচন্দ্র সেনের ৪টি বই। পাওয়া যাচ্ছে ‘জসীম উদ্দীনের প্রবন্ধ সমূহ’ দু’টি খÐে। শিশুদের জন্য লেখা পল্লীকবির ৮টি বই তারা রেখেছে এবারের মেলায়। বইগুলো হচ্ছে এক পয়সার বাঁশি, হীরামন, মালঞ্চ-মাধব, আসমানীর কবিভাই, বউ টুবানীর ফুল, গরিব বাদশাজাদি, মধুমালা ও ডালিম কুমার। তার উপন্যাস ‘বোবা কাহিনী’ ছাড়াও আরো রয়েছে তার রচিত কাব্যগ্রন্থ নকশী কাঁথার মাঠ, বালুচর, ধানক্ষেত, সোজন বাদিয়ার ঘাট, রূপবতী, ভয়াবহ সেই দিনগুলি ইত্যাদি। নাটক সমূহের মাঝে রয়েছে আসমান সিংহ, গ্রামের মেয়ে, পল্লীবধূ ইত্যাদি। পাঠকরাও পুরো বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে একটিবারের জন্য হলেও ঢুঁ মারছেন এই স্টলে। সংগ্রহ করছেন তাদের প্রিয় রচনাসমূহ।
পলাশ প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক কাজী কাওছার মাহবুব বলেন, আমাদের স্টলে প্রচুর পাঠক আসছেন প্রতিদিনই। আর বাংলা সাহিত্যের মূল স্বাদ পেতে হলে পল্লীকবির রচনা সমূহের কোন বিকল্প নেই বলেই পাঠকরা এর প্রতি প্রতিনিয়তই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
স্টলের বিক্রয়কর্মী রেজওয়ানা রিয়া বলেন, আসলে পল্লীকবির বই পাঠকদের অন্যভাবে টানে। এর সাথে প্রত্যেকেরই আবেগ আর ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।
স্টলে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র রাশেদুল হাসান তিমুর বলেন, বাংলা সাহিত্যে পল্লীকবি এসেছেন একজনই। তার বিকল্প এখনো কেউ আসতে পারেনি। তার বইয়ের ব্যাপারে আসলে কিছু বলার নেই এগুলো অনন্য।
গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৮২টি এবং ৪১টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।