পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : উৎপাদন বাড়াতে ব্রাজিল থেকে প্রযুক্তি এনে তা ব্যবহারের মাধ্যমে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে গরু উপযুক্ত করে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোশতের ঘাটতি পূরণ হবে বলেও আশা করছেন মন্ত্রী। প্রথমবারের মতো প্রাণিসম্পদ সেবাসপ্তাহ পালন উপলক্ষে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী ছায়েদুল। মন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। আগে হালচাষ করা হতো গরু দিয়ে, এখন পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়। দেশের মানুষ আগের মতো গরু পালন করে না।
আগে প্রতি বাড়িতে গরুর গোয়াল ছিল, এখন গ্রামে গোয়াল পাওয়া যায় না। সম্প্রতি ব্রাজিল সফর করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মডার্ন টেকনোলজি ব্রাজিল থেকে নিয়ে আসব। আমাদের গরু উপযুক্ত করতে ছয়-সাত বছর লাগে, এই প্রযুক্তি নিয়ে আসলে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে গরু সুপরিওর (উপযুক্ত) হবে। ‘আশা করি, এ উদ্যোগের ফলে জন্মহার বাড়বে এবং গোশতের যে ঘাটতি তা পূরণ হবে। এই প্রযুক্তি চীন নিয়েছে, জার্মানি ও রাশিয়া নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, দেশে দুধের চাহিদা ১৪৬ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদন হচ্ছে ৭২ দশমিক ৭৫ লাখ মেট্রিক টন। ঘাটতি ৭৪ দশমিক ১৬ লাখ মেট্রিক টন।
মাংসের চাহিদা ৭০ দশমিক ৫২ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদন ৬১ দশমিক ৫২ লাখ মেট্রিক টন এবং ঘাটতি ৯ লাখ মেট্রিক টন। এক হাজার ৬৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডিমের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার ১৯০ কোটি ২৪ লাখ ডিম, ঘাটতি আছে ৪৮৩ কোটি ১৬ লাখ ডিম। ২০১৬ সালে দেশে কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষের সংখ্যা ছিল ৪৪ লাখ ২০ হাজার।
আর ছাগল-ভেড়ার চাহিদ ছিল ৭০ লাখ ৫০ হাজারটি। এই চাহিদার শতভাগ পশু দেশীয় উৎপাদন থেকেই মেটানো হয়েছিল। নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের প্রতিশ্রুতি, সুস্থ-সবল মেধাবী জাতিÑ সেøাগান নিয়ে প্রথমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতর যৌথভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি প্রাণিসম্পদ সেবাসপ্তাহ পালন করবে। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আইনুল হক এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।