Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিজে এমপি হতে লিটনকে খুনের পরিকল্পনা করেন কাদের : আইজিপি

মিতু হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেনি

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের এমপি মনঞ্জুরুল ইসলাম লিটন খুনের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান। লিটনকে সরিয়ে দিয়ে এমপি হওয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য।
গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপির) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানকে লিটন খুনের মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, তার ইচ্ছা ছিল লিটনকে সরিয়ে দেয়া হলে তার পথ পরিষ্কার হবে এবং পরবর্তীতে এমপি হতে পারবেন।
আইজিপি বলেন, এ ঘটনায় কাদের খান ও তার লোকজন যে জড়িত এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
দেড় মাসের তদন্তে লিটনের খুনি ও খুনের পরিকল্পনাকারীকে শনাক্তের কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, আমরা যাদের শনাক্ত করেছি তারাই খুন করেছে এবং খুনের পরিকল্পনা করেছে। তিন জন কিলার মোটরসাইকেলে করে তার (লিটনের) বাড়িতে গেছে। তাকে কাছে থেকে গুলি করা হয়েছে। সে মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে এবং তিনজন কিলারকে আমরা গ্রেফতার করেছি। দুইজন গতকাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আরেকজন গ্রেফতার হয়েছে, তাকেও আমরা জবানবন্দি নেয়ার জন্য পাঠাব।
কর্নেল কাদের সাহেবকে গ্রেফতার করেছি, তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তদন্তে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে আমাদের বিন্দুমাত্র কোনো সংশয় নেই। পুরো বিষয়টি উদঘাটন করা হয়েছে। খুনের পর জামায়াতকে দায়ী করা হয়েছিল কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুন্দরগঞ্জে জামায়াত ২০১৩ সালে ৪ জন পুলিশকে হত্যা করেছিল। সে সময় গাইবান্ধায় যারা নাশকতা করেছে, হত্যাকাÐ করেছে তাদের সবাই জামায়াতের। জামায়াতকে সন্দেহ করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। খুনের পর অনেককেই সন্দেহ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ একেবারে শতভাগ পেশাদারিত্ব নিয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে।
এদিকে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাÐে বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারের মতো পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ এখনও পুলিশের কাছে নেই। যদি কনক্রিট ও ডাইরেক্ট কোনো অ্যাভিডেন্স পাওয়া যায় অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ প্রধান জানান, হত্যাকাÐের অন্যতম সন্দেহভাজন মুছাকে পুলিশ খুঁজছে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগপত্র দেয়া হবে। দুই বছর আগে ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ নিহত এসআই আকরাম হোসেনকে বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহীদুল হক বলেন, এসআই আকরামের বিষয়টি নিয়ে আমরা সরাসরি অভিযোগ পাইনি। মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এটা তদন্তের বিষয়। তদন্তে বোঝা যাবে অভিযোগ সত্য নাকি মিথ্যা। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিকেলে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুলিশ সমাবেশে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আইজিপি। এসময় সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহারও তার সঙ্গে ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ