পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় এমপি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডা. আবদুল কাদের খানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মইনুল হাসান ইউসুব তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়া জেলা শহরের কাদের খানের পরিচালিত গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাতেই তাকে পুলিশ ভ্যানে করে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। রাতভর তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ছিলেন। বুধবার দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় কাদের খান হেলমেট পরিহিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম জানান, গ্রেপ্তার কাদের খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে বিচারক শুনানি শেষে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, লিটন হত্যার ঘটনায় মুল পরিকল্পনাকারী ও হত্যায় অংশ নেওয়া কিলারদের অর্থ যোগান দেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে আজ সাড়ে ১০ টায় গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, লিটন হত্যাকাণ্ডে মুল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির নেতা ডা. আব্দুল কাদের খান সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একজন কিলার রানা পুলিশের নজরদারিতে আছে। যে কোন সময় তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কাদের খান নিজে এমপি ছিলেন এবং আগামী দিনেও হবেন এই আশা নিয়ে আওয়ামী লীগের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা থেকেই তিনি নিজের স্বজন ও ভাড়াটে কিলার দিয়ে এমপি লিটনকে গুলি করে হত্যা করেন। দীর্ঘ তদন্তের পর গতকাল বগুড়া থেকে কাদের খানকে গ্রেপ্তার করে রাতে গাইবান্ধায় আনা হয়। এর আগে তিন কিলার মেহেদী হাসান, শাহীন ও হান্নান আদালতে কাদের খানের জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ডিআইজি ফারুক আরও জানান, একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমপি লিটনের খুনিদের খোঁজ পায় পুলিশ।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মাস্টাপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।