পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চ আদালতে বাংলা ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেছেন, আমি খুবই দুঃখিত এবং প্রধান বিচারপতি হিসেবে এটা আমার অপারগতা, এটা আমি স্বীকার করি। গতকাল মঙ্গলবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, বাংলা ভাষা এখন দেশের প্রতিটি অফিসে চালু হয়েছে। আমাদের হাইকোর্ট বিভাগে বেশ কিছু বিচারক এত সুন্দরভাবে বাংলা ভাষায় রায় লিখছেন, সেটা কল্পনা করা যায় না। আমরা আপিল বিভাগেও চেষ্টা করছি।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই আপিল বিভাগে বাংলায় রায় লেখার বিষয়টি চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
যদি কোনো ডিভাইস আসে, যার মাধ্যমে ইংরেজিতে রায় বললে তা বাংলায় কনভার্ট হয়ে যাবে, তাহলে আমরা দ্রæত সেটি সংগ্রহ করব। এ ধরনের কোনো ডিভাইস আছে কি-না খুঁজে দেখা হচ্ছে; আশা করি দ্রæতই বাংলায় রায় লেখার প্রচলন শুরু করতে পারব।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি কোনো দিন ব্যর্থ হইনি। এই জায়গায় এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছি। আশা করি, অবসরের আগে এটা করতে পারব। এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, বিচারাঙ্গনে বাংলা ভাষার চর্চা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিচারপতি খায়রুল হক পরে সাংবাদিকদের বলেন, জনস্বার্থে হলেও উচ্চ আদালতের রায় বাংলায় লেখা উচিত। এমনকি ভেটিংও বাংলায় হওয়া উচিত। সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তিনটি লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে উচ্চ আদালতে বাংলায় রায় দিয়েছিলেন বলে জানান খায়রুল হক। আমি প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর বাংলায় রায় দেওয়ার চিন্তা করেছি, দিয়েছিও। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ইংরেজিতে রায় বোঝে না। যে কারণে তাদের সঙ্গে বিচার অঙ্গনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে প্রায় ২০০টি রায় বাংলায় হয়েছে জানিয়ে উচ্চ আদালতের সব কাজে বাংলা প্রচলনের ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।