পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুরো মাঠের এখানে সেখানে বাংলা বর্ণ নিয়ে এক বর্ণিল আয়োজন। কেউ মাঠের ওপর রাখা বড় বড় বর্ণ রাঙিয়ে তুলছে নানা রং দিয়ে। কেউ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি বর্ণের ঝলক দেখছেন, কেউ কোলে করে আনা শিশুকে বিশিষ্ট লোকদের হাতে দিচ্ছেন হাতেখড়ি, কেউবা শুনছে বর্ণ নিয়ে ‘সিসিমপুর’-এর টুকটুকি আর হালুমের কথা। সব মিলিয়ে এক বর্ণিল আয়োজন রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল কলেজ মাঠে। কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া থেকে মেয়ে অর্পিতা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মা চিত্রা রহমান। জানালেন, বর্ণ নিয়ে প্রথম আলোর এ আয়োজনে কয়েক বছর ধরেই তিনি আসছেন। প্রতিবারের মতো এবারের সব আয়োজন তাকে মুগ্ধ করেছে।
বায়ান্নর আন্দোলনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যেসব শ্লোগানে ভাষা সংগ্রামীরা সোচ্চার হয়েছেন, সে সব শ্লোগান দেখা গেল মাঠের বিভিন্ন স্থানে। কোথাও ‘বাংলা চাই’, কোথাও ‘উর্দু মানি না’, কোথাও বা ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, যা মনে করিয়ে দেয় ভাষা আন্দোলনের সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা। কথা হয় প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্ণ নিয়ে কত সুন্দর একটা আয়োজন যে হতে পারে, তা এখানে না এলে বোঝা যাবে না। সেই শুরু থেকে আমি এ মেলায় আসছি। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কাছে এ মেলা এক অনন্য স্থান বলে মনে করেন তিনি।
একুশের সাদা-কালো পোশাকের ওপর বাংলা বর্ণমালা সংবলিত পোশাক পরে বর্ণমেলায় বেড়াতে এসেছেন চিকিৎসক শওকত হোসেন খান। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে যাহিন আর জাহিয়াও এসেছে তার সঙ্গে। বললেন, ছোট মেয়েকে হাতেখড়ি দেবেন এবার। তবে চার বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে এই মেলায় আসছেন।
ধানমন্ডির বাসিন্দা খোদেজা খাতুনও এসেছেন মেয়ে আরশানকে নিয়ে। তার হাতেখড়ি দেবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে। জানালেন, এবারে বড় পরিসরে এই মেলা করাতে তার অনেক ভালো লাগছে।
মেলার এক পাশে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি বর্ণমালা প্রদর্শন করা হচ্ছে। কেউ কলম দিয়ে ‘ক’ লিখেছে, চাল দিয়ে লিখেছে ‘চ’, চশমা দিয়ে তৈরি করেছে ‘চ’ বর্ণ। একটি শব্দের চোখ আটকে যায় হঠাৎ। বাবার ছবি দিয়ে বাবা লিখেছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুবাশ্বিরা ইসলাম। সে লিখেছে, ‘বাবা, তোমাকে চিৎকার করে “বাবা” করে ডাকতে ইচ্ছা করছে। কেন চলে গেলে না ফেরার দেশে।’ ছবিটা দর্শনার্থীদের আবেগপ্রবণ করে তুলছে।
মঞ্চে চলছে নাচ-গানসহ নানা আয়োজন। হঠাৎ মঞ্চ থেকে বলা হলো, এখনই ‘সিসিমপুর’-এর হালুম আর টুকটুকি হাজির হবে। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা। তারা টুকটুকিকে ডাকতে থাকল। তাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে কি আর পারে টুকটুকি! একসময় মঞ্চে হাজির হয়ে মজার মজার কথা বলল সে। পরে এল হালুমও। এভাবে একের পর এক চমক দেখা যাবে বর্ণমেলার মঞ্চে। আর পুরো মেলায় নাগরদোলার মতো মজার মজার আয়োজন তো আছেই!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।