পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো ও পুঠিয়া সংবাদদাতা : রাজশাহীর পুঠিয়ায় কথিত সিডি প্লেয়ার চুরির অভিযোগে নাজমুল হক (১২) নামে এক শিশুকে ট্রাকের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসময় কেটে দেয়া হয় তার মাথার চুল। মুখে মাখানো হয় কালি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুঠিয়া সদরের খাঁন ফিলিং স্টেশনে।
নির্যাতনের শিকার নাজমুল উপজেলার বারোইপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। খাঁন ফিলিং স্টেশনের পাশের একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করতো সে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দিবাগত রাতে পুঠিয়া সদরের খাঁন ফিলিং স্টেশনে বিপি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রাখা ছিল। সেখান থেকেই বাসটির সিডি প্লেয়ার চুরি হয়। বাসটির চালক ও তার সহকারী সন্দেহ করে গ্যারেজ থেকে ধরে আনে নাজমুলকে। এরপর ট্রাকের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেধে তাকে বেদম মারধর শুরু হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় এক ফিলিং স্টেশন কর্মচারী। মারধর করার পর তার মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদের মুখে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা কথা বলতে রাজি হননি। তবে ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা ওই শিশুকে মারধর করেনি বলে দাবি করেছেন, খাঁন ফিলিং স্টেশনের মালিক। ফিলিং স্টেশনে এক শিশু নির্যাতনের খবর তিনি পেয়েছেন। সিডি প্লেয়ার চুরির অভিযোগে বিপি পরিবহনের কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা জড়িত নয়।
নির্যাতনের শিকার নাজমুলের বাবা হাফিজুর রহমান বলেন, চুরির এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। সন্দেহবশে তার ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এর বিচার দাবি করেন তিনি।
তবে এ নিয়ে এখনো থানায় অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার শিশু নির্যাতনের সত্যতাও পেয়েছে পুলিশ। এর আগে গত ১৪ ফেব্রæয়ারি উপজেলার তারাপুর এলাকায় ফোনের মেমোরি কার্ড চুরির কথিত অভিযোগে পেটানো হয় আরিফুল ইসলাম (১২) নামের আরেক শিশুকে। ওই দিনই আরিফুলের বাবা মহিরুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয় নির্যাতনকারী এরশাদ আলী ও শুভ ইসলাম। তারাই গাছের সঙ্গে বেধে পেটাচ্ছিল আরিফুলকে। এর আট দিনের মাথায় আবারো শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।