Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পোশাক খাতের উন্নয়নে জাইকার উচ্চ সুদহার ঋণ ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ব্যবসায়ীদের সাড়া নেই

| প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পোশাক খাতের উন্নয়নে জাইকার দেয়া প্রথম কিস্তির ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের তেমন সাড়া নেই। উচ্চ সুদহার আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়েছে মাত্র দুটি কারখানা। দ্বিতীয় কিস্তিতে সহজশর্তে ঋণ ছাড়ের প্রতিশ্রæতি পেলে পোশাক মালিকরা আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আন্তর্জাতিক মহল। এতে সরকার ও বিদেশি ক্রেতাদের সহায়তায় শুরু হয় কারখানা পরিদর্শন। অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স আড়াই হাজারের বেশি কারখানাকে দেয় সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা। কিন্তু অর্থের অভাবে ওই কাজ এগুচ্ছে ধীর গতিতে।
অর্থসংস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার অর্থায়নে গঠন করে তহবিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ১শ’ কোটি টাকার ঋণ ছাড় করা হয়। সরকারকে ১ শতাংশের কম সুদে ওই ঋণ দেয় জাইকা। কিন্তু নানা শর্তের বেড়াজালে পড়ে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বেড়ে হয় দশগুণের বেশি।
তহবিল থেকে ৫ শতাংশ সুদে নেয়া অর্থ ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১০ শতাংশ হারে। সুদের এই উচ্চহার ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সাড়া মেলেনি। ৫০টি কারখানা আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত ঋণ নিয়েছে মাত্র দুটি। আগামীতে এ খাতেই ৩শ’ কোটি টাকার ঋণ সহযোগিতা চুক্তি করেছে জাইকা। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় শতাংশ। তা যেন আগের মতো বেড়ে না যায়, সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন পোশাক মালিকরা।
শর্ত অনুযায়ী, কারখানা সংস্কারে ৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৫ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে এ ঋণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ