পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা একজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছিল যে ইসরায়েলি সৈন্যÑ গতকাল তাকে ১৮ মাসের কারাদÐ দিয়েছে একটি আদালত। গত বছর মার্চ মাসে অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে ২১ বছর বয়ষ্ক ফিলিস্তিনি আবদুল ফাত্তাহ আল-শরিফকে গুলি করে হত্যা করে সার্জেন্ট এলোর আজারিয়া নামে এই ইসরায়েলি সেনা।
নিহত ফিলিস্তিনির পরিবার এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এ সাজা এতই কম যে, তা ঠাট্টার সামিল। কিন্তু এক দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদ ওই সৈনিককে অবিলম্বে ক্ষমা করে দেবার দাবি করেন। ওই ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক ক্ষোভ ও বিতর্কের জন্ম দেয়। ইসরায়েলেও এই সৈনিকের পক্ষে-বিপক্ষে জনমত বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেখানে অনেকে এ সৈনিককে খুনি বলে আখ্যায়িত করে। গুলি করার পর সার্জেন্ট আজারিয়া একজন সহকর্মীকে বলে, আল-শরিফ আরেকজন ইসরায়েলি সৈন্যকে ছুরিকাঘাত করেছিল এবং তাই ‘মৃত্যুই তার প্রাপ্য ছিল’। সামরিক প্রধানরা আজারিয়ার এ কাজের কড়া নিন্দা করলেও ইসরায়েলে অন্য অনেকে আবার তার প্রশংসা করে।
আদালত তাকে অনিচ্ছাকৃত খুন বা ‘ম্যানসøটারের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। এ অপরাধে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদÐের বিধান রয়েছে। কিন্তু কৌসুলিরা তাকে তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদের সাজার আর্জি করেন। নিহত ফিলিস্তিনি শরিফের পরিবার তার যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয়ার দাবি জানিয়েছিল।
বিচারক বলেন, এটা তার প্রথম অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনা এবং একটা সক্রিয় সামরিক পরিস্থিতিতে তাকে কী করতে হবে তার কোনো পরিষ্কার আদেশ ছিল নাÑ তাই সাজার পরিমাণ কম দেয়া হয়েছে। আদালতে আজারিয়াকে সহাস্য মুখে তার মাকে পাশে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।