পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : লক্ষ্মীপুর জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ফেনী থেকে চৌমুহনী হয়ে লক্ষ্মীপুর যাবে ট্রেন। এতে করে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় ৮০ লাখ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করার সুযোগ পাবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন রেললাইন স্থাপনের জন্য অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। জানতে চাইলে রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে অর্থ সংগ্রহের জন্য দাতা সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। এটা খুব বেশি বড় প্রকল্প হবে না। সেজন্য আশা করা যায়, দাতা সংস্থা খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে। ২০১৪ সালে যোগাযোগমন্ত্রী (বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী) ওবায়দুল কাদের লক্ষ্মীপুর জেলায় রেললাইন স্থাপনের জন্য রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের কাছে একটি চাহিদাপত্র (ডিও নং-যোম/মামদ/২০১৪-৪৯১) দেন। রেলমন্ত্রী এ বিষয়ে নীতিমালার আলোকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেল সচিবকে নির্দেশ দেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা-১ হতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপককে নির্দেশ দেয়া হয়।
সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার চাহিদাপত্রে উল্লেখ করেন কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অধিবাসীদের বেশির ভাগ তাদের দেশের বাড়িতে নিয়মিতভাবে যাতায়াত করে থাকেন। লক্ষ্মীপুর জেলার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের অধিবাসীগণ রেলপথের মাধ্যমে যাতায়াতের সুবিধা ভোগ করছেন। অথচ বর্তমান সরকারের সময়ে রেলপথ ব্যবস্থার অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন হলেও লক্ষ্মীপুর জেলায় এর ছোঁয়া লাগেনি। ওই পত্রে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর জেলার ১৬ লাখ মানুষকে সড়কপথে যাতায়াত করতে হয় এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকা থেকে পণ্য সামগ্রী পরিবহন করতে হয়। পত্রে উল্লেখ করা হয়, আশির দশকে চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুরে রেলপথ স্থাপনের লক্ষে রেলওয়ে একটি জরিপ কাজ পরিচালনা করে। কিন্তু বিষয়টি উদ্যোগের অভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারেনি। পত্রে ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি মনে করি লক্ষ্মীপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের মধ্যে অর্থাৎ ফেনী-চৌমুহনীলক্ষ্মীপুর রুটে রেলপথ চালু করা হলে এ অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অধিবাসীরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা বোগ করবেন এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণের যাতায়াত সমস্যা যেমন দূরীভ‚ত হবে, তেমনি সরকারের বিপুল রাজস্ব আদায় হবে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের সময় লক্ষ্মীপুর জেলায় রেলপথ স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপিত হয়।
এদিকে, রেলভবনের প্রকৌশল শাখার এক চিঠিতে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ডিও ছাড়াও রেলমন্ত্রীর কাছে করা লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনের একটি আবেদনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়, রেলপথ মন্ত্রীর কাছে ওই আবেদনের পর জরুরিভিত্তিতে মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম আলাউদ্দিন রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদনে বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় রেলপথ, নৌপথ ও বিমান পথ বলতে কিছুই নেই। জেলার ১৬ লাখ মানুষকে সড়কপথে চলাচল এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকা থেকে পণ্যসামগ্রী আনা-নেয়া করতে হয়। এতে সমগ্র জেলার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমতবস্থায়, ফেনী-চৌমুহনীলক্ষ্মীপুর রেলপথ সংযোজন করা হলে ফেনী, চৌমুহনী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর জেলাবাসী ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এতে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ সরাসরি রেল বিভাগের সহায়তা পাবে। এই আবেদনের পর রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলওয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। রেলভবন সূত্র জানায়, মাঠ পর্যায়ে জরিপ শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে পরিকল্পনা ও বাজেট করা হবে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।