পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : ‘মাদক ও জঙ্গির প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’ সেøাগান তুলে যশোর শহরে পুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে গণমিছিল হয়। জঙ্গি ও মাদকমুক্ত যশোর গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের ঘোষিত ১শ’ দিনের ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই গণমিছিল। ভারতীয় ফেনসিডিলসহ মাদকের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বহু আগে থেকেই পরিচিত যশোরে ইতিঃপূর্বে কখনো পুলিশের নেতৃত্বে গণমিছিল হয়নি। ফলে পুলিশের এবারের পদক্ষেপ জঙ্গি মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য একটা সতর্কবার্তা বলেই মনে করছেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় যশোর পুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমান বিপিএম পিপিএম (বার) বলেন, যশোর থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বহুলাংশে নির্মূল হয়েছে। জোরদার অভিযান চলছে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে। জঙ্গি ও মাদক শূন্যের কোঠায় আনার জন্য পুলিশ বাহিনী দিনরাত সমানতালে কাজ করছে। সাধারণ মানুষ পাশে থাকলে অচিরেই যশোর মাদক ও জঙ্গিবাদমুক্ত হবে। পুলিশ সুপার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সহযোগিতা করবে তাদেরও রেহাই দেয়া হবে না। জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদকস¤্রাট ও গডফাদারদের আটক এবং তাদের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যশোর শহরের শংকরপুর, রায়পাড়ার কয়েকটি চিহ্নিত মাদক ডিপো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কমিউনিটি পুলিশ ও শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটির তত্ত¡াবধানে মাদক ও জঙ্গিবিরোধী গণমিছিলটি মনিহার এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পাড়া এলাকায় শেষ হয়। মিছিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো: আবু সরোয়ার, সহকারী পুলিশ সুপার তানভির আহমেদ ও জামিল আহমেদ নাসের, কমিউনিটি পুলিশিং-এর সভাপতি আলী আকবর, সাংস্কৃতিক নেতা হারুণ অর রশীদ। পুলিশ জানায়, মিছিলের উদ্দেশ্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। একইভাবে জেলার সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী সচিত্র তথ্যাদি প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করেও সচেতনতা সৃষ্টির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে যশোরে মাদক মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭টি। আটক হয়েছে ৪৮ জন। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।