Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম

| প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম. কে. দোলন বিশ্বাস : ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ে যা কিছু প্রথম ঘটেছে তার কিছু ফিরিস্তি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো :
একুশের প্রথম শহীদ : মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে সর্বপ্রথম শহীদ হয়েছেন মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের আইকম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ২৬ বছর বয়সী রফিক উদ্দিন আহমেদ। তিনি বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিক মরহুম আবদুল লতিফের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার মায়ের নাম রাফিজা খাতুন। তাদের গ্রামের বাড়ি ছিল সিংগাইর উপজেলার পারিল বলধারায়।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শনরত ছাত্র-জনতার মিছিলে রফিক অংশগ্রহণ করেন। পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ায় ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ব্যারাকে আশ্রয় নেয়ার সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন রফিক। বিকেল সোয়া ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে পুলিশ গুলি চালালে রফিকের মাথায় গুলি লাগে। এতে মাথার খুলি উড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রাত তিনটায় সামরিক বাহিনীর প্রহরায় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহর উপস্থিতিতে আজিমপুর মসজিদের ইমাম হাফেজ আবদুর গফুর তাঁর জানাজা পড়ান। সংগোপনে, আত্মীয়স্বজনের অজ্ঞাতে আজিমপুর কবরস্থানের অসংরক্ষিত এলাকায় দাফন করা হয় শহীদ রফিকের মরদেহ।
পূর্ববঙ্গ পরিষদে প্রথম বক্তব্য : একুশে ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে তিনটায় পূর্ববঙ্গ পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। মাত্র ঘণ্টা কয়েক আগে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে জাতীয় অধিবেশন সেদিনের জন্য স্থগিত রাখার দাবি জানান আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। তিনি বলেন, ‘জনাব স্পিকার সাহেব, প্রশ্নোত্তরের পূর্বে আমি আপনার কাছে একটা নিবেদন করতে চাই। যখন দেশের ছাত্ররা, যারা আমাদের ভাবী আশা-ভরসাস্থল, পুলিশের গুলির আঘাতে জীবনলীলা সাঙ্গ করছে, সেই সময় আমরা এখানে বসে সভা করতে চাই না। প্রথমে ইনকোয়ারি তারপর হাউস চলবে।’ একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে এটাই ছিল আইন পরিষদে প্রথম বক্তব্য।
প্রথম নিয়ন্ত্রণকক্ষ : একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ২০ নম্বর ব্যারাকের ১ নম্বর কক্ষে স্থাপন করা হয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ বা কন্ট্রোল রুম। ওখান থেকেই পরিচালিত হতে থাকে আন্দোলন। ওই কক্ষ থেকেই মাইকে জ্বালাময়ী বক্তৃতা, উদ্দীপনামূলক গান এবং আন্দোলনের নানাবিধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতো। মাইকটি লাগানো হয়েছিল ব্যারাকের উত্তর-পশ্চিম কোনায় অবস্থিত আম বাগানের ডালে, একেবারে পরিষদ ভবনের নাকের ডগায়।
প্রথম লিফলেট : একুশে ফেব্রুয়ারি গুলি হওয়ার তিন চার ঘণ্টার মধ্যেই একটি লিফলেট প্রকাশিত হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় একটা কিছু করার তাগিদে ওই দিনই সন্ধ্যায় আলাউদ্দিন আল আজাদ, মুস্তফা নূরউল ইসলাম, ফজলে লোহানী, হাসান হাফিজুর রহমান পাটুয়াটুলির ‘সওগাত’ পত্রিকার অফিসের বিপরীত গলিতে অবস্থিত পাইওনিয়ার প্রেসে যান। দুটি টেবিলে বসে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁরা লিখে ফেলেন কয়েকটি প্রবন্ধ ও নিবন্ধ। তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি হয়ে যায় একটি বুলেটিন। ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী, শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব।’ ওই লিফলেটের লেখক ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। এটি সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন কবি হাসান হাফিজুর রহমান। রাতেই লিফলেটটি বিশ্ববিদ্যালয় ও পলাশী ব্যারাক এলাকায় বিলি করে ভাষা আন্দোলনের কয়েকজন কর্মী।
প্রথম ইশতেহার : একুশে ফেব্রুয়ারি গুলিবর্ষণের পর ওই দিনই পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ববঙ্গ কমিটি ‘অত্যাচারী নূরুল আমীন সরকারের বর্বর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সারা পূর্ববঙ্গব্যাপী তুমুল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়িয়া তুলুন’ শীর্ষক একটি ইশতেহার প্রচার করে। সাইক্লোস্টাইল করা ওই ইশতেহারই ছিল একুশের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে প্রথম ইশতেহার।
প্রথম প্রকাশ্য জনসভা : একুশের শহীদদের স্মরণে ২২ ফেব্রুয়ারি গায়েবানা জানাজার পর একটি সংক্ষিপ্ত সভা হয়। একুশের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে প্রথম প্রকাশ্য ওই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ এমাদুল্লাহ। সভাপতির ভাষণে তিনি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহŸান জানান। সভাপতির ভাষণের আগে একমাত্র অলি আহাদই এ সভায় বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘নূরুল আমীন সরকারের হত্যার জবাব দিব ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মারফত, মাতৃভাষা বাংলাকে পূর্ণ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার দ্বারা।’
আইন পরিষদ থেকে পদত্যাগকারী প্রথম সদস্য : একুশের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্যপদ থেকে প্রথম পদত্যাগ করেন দৈনিক আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন। গভর্নর ও পরিষদের স্পিকারকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা দাবি করায় ছাত্রদের ওপর পুলিশ যে বর্বরতার পরিচয় দিয়াছে, তাহার প্রতিবাদে আমি পরিষদে আমার সদস্যপদ হইতে পদত্যাগ করিতেছি। যে নূরুল আমীন সরকারের আমিও একজন সমর্থক, এ ব্যাপারে তাহাদের ভূমিকা এত দূর লজ্জাজনক যে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এই দলের সহিত সংযুক্ত থাকিতে এবং পরিষদের সদস্য হিসাবে বহাল থাকিতে আমি লজ্জাবোধ করিতেছি।’
প্রথম মিছিল : একুশে নিহতের পর প্রথমবাবেরর মতো ২২ ফেব্রুয়ারি গায়েবানা জানাজা শেষে সমবেত হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের পথ ধরে নবাবপুর রোডের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘খুনী নূরুল আমীনের বিচার চাই’, ‘খুনের বদলে খুন চাই’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে দিতে মিছিলটি হাইকোর্টের গেইটের সামনে উপস্থিত হলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ তাদের পথ রোধ করে। মিছিলটি সেক্রেটারিয়েটের পাশ দিয়ে আবদুল গণি রোড ধরে অগ্রসর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিছিল গনি রোডের দিকে মোড় নিতে শুরু করামাত্র পুলিশ একই সঙ্গে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু করে। মিছিলকারীদের অনেকেই এ সময় ফজলুল হক হল, কার্জন হল, ঢাকা হলসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আশ্রয় গ্রহণ করে।
প্রথম বই : একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার মাত্র তিন মাস পর ভাষা আন্দোলন ও একুশের ইতিহাস নিয়ে প্রথমবারের মতো লেখা হয় ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’। বইটির সম্পাদক অধ্যাপক (পরে প্রিন্সিপাল) আবুল কাসেম। ৫২ সালের জুন মাসে ‘আমাদের প্রেস’ থেকে মুদ্রিত এবং তমদ্দুন লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত হয় বইটি।
প্রথম নাটক : একুশের প্রথম নাটকের নাম ‘কবর’। নাটকটি লিখেছিলেন আমাদের দেশের সেরা অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী, নাট্যকার মুনীর চৌধুরী। ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার ‘অপরাধে’ ১৯৫২ সালে জেলে আটক ছিলেন মুনীর চৌধুরী ও রণেশ দাশগুপ্তসহ অনেক লেখক-সাংবাদিক। রণেশ দাশগুপ্ত অন্য সেলে আটক মুনীর চৌধুরীকে ভাষা আন্দোলনের ওপর একটি নাটক লিখে দেওয়ার অনুরোধ করে একটি চিরকুট পাঠান।
শহীদ দিবসে রাজবন্দীরাই নাটকটি মঞ্চস্থ করবে, জেলে মঞ্চসজ্জা ও আলোর ব্যবস্থা করা যাবে না। তাই মুনীর চৌধুরীকে বলা হয়, নাটকটি এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে খুব সহজে জেলেই এটি অভিনয় করা যায়। মুনীর চৌধুরী ’৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি নাটকটি লিখে শেষ করেন। ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি, রাত ১০টায় জেলকক্ষগুলোর বাতি নিভিয়ে দেওয়ার পর হ্যারিকেনের আলো-আঁধারিতে মঞ্চস্থ হয় ‘কবর’। এতে অভিনয়ে অংশ নেন জেলেবন্দী সংগ্রামী বন্দী নলিনী দাস, অজয় রায় প্রমুখ।
প্রভাতফেরির প্রথম গান : ১৯৫৩ সালে প্রথম শহীদ দিবসের প্রথম প্রভাতফেরিতে গাওয়া হয়- ‘মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/আজিকে স্মরিও তারে।’ গানটির রচয়িতা বরিশালের প্রকৌশলী মোশারেফ উদ্দিন আহমদ। ৫৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে লেখা হয়েছিল এ গান। হেদায়েত হোসাইন মোরশেদ লিখেছেন, ‘সেই সংগীতই হয়ে ওঠে অমর একুশের প্রথম বার্ষিকীর প্রভাতফেরির গান। আলতাফ মাহমুদের অপূর্ব সুর সংযোজন। আলতাফের সঙ্গে প্রথম কণ্ঠ মেলান শিল্পী সংসদের নিজামুল হক, মোমিনুল হক, ছাত্রনেতা গাজীউল হক।
প্রথম গান : একুশের প্রথম গান রচনা করেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। গানটির প্রথম চরণ ‘ভুলব না, ভুলব না, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’। ৫৩ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আরমানিটোলা ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় গানটি প্রথম গাওয়া হয়। ১৯৫৩-৫৪ সাল পর্যন্ত ওই গানটি গেয়েই প্রভাতফেরি করা হতো। গানটির সুরকার ছিলেন গাজীউল হক নিজেই। গানটি ওই সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
‘দূর হটো দূর হটো আই দুনিয়াওয়ালো, হিন্দুস্তান হামারা হায়’-জনপ্রিয় এ হিন্দিগান থেকে নেওয়া হয় গানটির সুর। এ সম্পর্কে গাজীউল হক তাঁর নৃতিচারণায় বলেছেন, ‘সভায় শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরোধে ভাষা আন্দোলনের ওপর লেখা গানটি আমাকে গেয়ে শোনাতে হয়। সময়ের প্রয়োজনেই গানটি লিখেছিলাম।’
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প : ভাষা আন্দোলনের স্মরণে লিখিত প্রথম গল্পের নাম ‘মন ও ময়দান’। এর রচয়িতা হলেন ভাষাসৈনিক ও বিশিষ্ট কথাশিল্পী মরহুম শাহেদ আলী। ১৯৫০ সালে সাপ্তাহিক সৈনিকের ‘ঈদ ও আজাদী দিবস’ সংখ্যায় গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
একুশের প্রথম গল্প : ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র হত্যার পর অর্থাৎ একুশের প্রথম গল্পের নাম ‘মৌন নয়ন’। গল্পটির রচয়িতা বিশিষ্ট কবি ও কথাশিল্পী শওকত ওসমান। ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রন্থে গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
প্রথম কবিতা : ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ শিরোনামে একুশের প্রথম কবিতা রচনা করেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মী কবি মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী। তখন তিনি প্রগতিশীল মাসিক সাহিত্য ‘সীমান্ত’ নামে একটি বিখ্যাত পত্রিকার সম্পাদক এবং চট্টগ্রামের রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহŸায়ক ছিলেন। ২২ ফেব্রুয়ারি ১৭ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকায় কবিতাটি ছাপা হয় এবং বইটির দাম রাখা হয় চার আনা।
ওই দিনই লালদীঘি ময়দানের জনসভায় রাজনৈতিক কর্মী হারুনুর রশীদ কবিতাটি পাঠ করে শোনান। কবিতাটি ছাপানোর সময় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার কোহিনূর প্রেসে হামলা চালায় পুলিশ। কিন্তু প্রেসের কর্মীরা আগেভাগেই পান্ডুলিপি, সাজানো ম্যাটার ও মুদ্রিত কপি গোপন করে ফেলতে সক্ষম হন। পুলিশ চলে গেলে আবার নতুন করে শুরু হয় ছাপার কাজ। কবিতাটি প্রকাশিত হলে সরকার কবিতাটি বাজেযাপ্ত করে এবং কবির বিরুদ্ধ হুলিয়া জারি করে। ফলে পূর্ণাঙ্গ কবিতাটি আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর এটি ছাপার অপরাধে কোহিনূর প্রেসের ম্যানেজার দবির আহমেদ চৌধুরী ও প্রথম পাঠক চৌধুরী হারুনূর রশীদকে দীর্ঘ কারাবাস করতে হয়।
(চলবে)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন