Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : শিক্ষকের মর্যাদা

| প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সকল শিক্ষকের বেতন হওয়া উচিত যোগ্যতা অনুসারে। তাহলেই শিক্ষাক্ষেত্রে মেধাবীদের আগমন ঘটবে এবং শিক্ষার সুফল পাওয়া যাবে। আমাদের শিক্ষকদের না আছে অর্থ না আছে সামাজিক মর্যাদা। পৃথিবীর অনেক দেশেই শিক্ষকের বেতন-স্কেল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতির পরবর্তী স্কেল। অথচ আমাদের দেশে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকদের মর্যাদা তৃতীয় শ্রেণীর। এ বড় লজ্জার এবং অপমানের। আমরা শিক্ষকদের এ রকম অমর্যাদাকর অবস্থা চাই না। আমরা চাই ‘আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষাগুরুর শির’- কবিতার এই লাইনটির সঠিক বাস্তবায়ন। শিক্ষকরা যেন অবহেলিত না থাকেন। শিক্ষকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হলে জাতি মর্যাদাশীল হবে। শিক্ষকতা নিঃসন্দেহে একটি মহান পেশা। এই পেশার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারের পাশাপাশি শিক্ষকদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকতে হবে। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য হ্রাস করতে হবে। শিক্ষা বিস্তারের ৮০ ভাগ দায়িত্ব পালন করছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা এবং ফলাফলও ভালো। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদোন্নতি নেই, বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা, চিকিৎসা-ভাতা ৩৫০ টাকা, অবসর-ভাতা নেই, আছে কিছু বঞ্চনা। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এবং শিক্ষাবান্ধব সরকারের কাছে এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। আমরা প্রত্যাশা করবÑ রাষ্ট্র এবং সরকার শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও স্বতন্ত্র বেতন-স্কেল নিশ্চিত করবে। এর সঙ্গে জাতির সামাজিক মর্যাদাও নির্ভর করে শিক্ষার সফলতা, শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা, জাতীয় উন্নতি- বিষয় তিনটি একই সুতোয় গাঁথা। শিক্ষার উন্নতি করতে হলে শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। কারিগর যদি দক্ষ ও মর্যাদাশীল না হয় তাহলে সেজাতিও মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার নয়।
সুধীর বরণ মাঝি
হাইমচর, চাঁদপুর ৩৬৬০

সরকারি চাকরির সময় বাড়ানো সম্পর্কে
আগে সরকারি চাকরিজীবীরা ৫৭ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করতে পারতেন। পরে দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ বছর করা হয়। তারপরও আরো বাড়ানোর জন্য তদবির চলছে। দেশে ১৬ শতাংশ উচ্চশিক্ষিত বেকার। তারা অধিকাংশই নি¤œবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। না খেয়ে না পরে পরিবার তাদের পড়ালেখা করিয়ছে। একটি চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে ঘুরে না পেয়ে বিপথগামী হচ্ছে, ওদিকে বয়সও শেষ। ৫৫ শতাংশ চাকরি কোটাভিত্তিক আর ৪৫ শতাংশ চাকরি সকলের জন্য। আধুনিক, যগোপযোগী, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর লেখাপড়া শিখে ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। আর চাকরিঅলাদের সময় বাড়ানো হচ্ছে। অথচ পুরনো একজনের বেতন দিয়ে নতুন তিনজনের কর্মসংস্থান সম্ভব। বিবেক তুমি জাগ্রত হও।
মোতাহার হোসেন হান্নান
উত্তর সাধারচর, শিবপুর

রাস্তার ধারে বিদ্যুতের লাইন ও বৃক্ষ নিধন
বিদ্যুৎ আমাদের খুব প্রয়োজন- এ কথা যেমন অস্বীকার করা যায় না তেমনি অস্বীকার করার উপায় নেই বৃক্ষের প্রয়োজীয়তা। গাছ না থাকলে পৃথিবী সবুজ থাকবে না আর সবুজ না থাকলে জলবায়ুর পরিবর্তন কী ধরনের হবে তা কিন্তু বর্তমানে কিছুটা হলেও পরিলক্ষিত। মাঘ মাসেও এবার শীত অনুভূত হয়নি তেমন। রাস্তার ধারে একাধারে গাছও থাকে এবং রাস্তার ধারেই বিদ্যুতের খুঁটিও থাকে। বিদ্যুতের খুঁটির আশপাশে গাছ থাকলে বাতাসের সময় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আর এজন্যই গাছগুলো ছেঁটে দেয়া হয়। কিন্তু ছাঁটতে গিয়ে গাছের সম্পূর্ণ মাথা কেটে দিলে সে গাছ কীভাবে পরিবেশের জন্য কাজ করবে?
ঝড়ের দিন আসার আগেই যে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটি আছে সেখানকার সব গাছ কেটে দেয়া হয়। এর ফলে রাস্তার সবুজাভ ভাব নষ্ট হয় তেমনি প্রভাব পড়ে পরিবেশে। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা নিয়ে এক্ষুণি ভাবা দরকার। শহরের ঘিঞ্জি এলাকায়ও এখনো দেখা যায় খুঁটিতে বিদ্যুৎ প্রেরণ ব্যবস্থা। অনেক তার জড়িয়েও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময়। কাভারিং তার অথবা ভূগর্ভস্থ লাইন ব্যবহার করে গাছগুলো রক্ষা করা যায় কি না সে ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। প্রচুর গাছ কেটে দেয়া হয়েছে আমাদের এলাকায় (মাওনা থেকে আনন্দ বাজার, শ্রীপুর, গাজীপুর)। যে রাস্তার ধারে গাছ কাটা হয়েছে সে রাস্তার দুপাশেই বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। একপাশের গাছ কেটে ফেলার পর অন্য পাশের গাছ কাটার প্রস্তুতি চলছে। তার মানে রাস্তাটি সম্পূর্ণ সবুজহীন হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি বিতরণ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিন। কেননা গাছ বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে আর পরিবেশ বাঁচলেই আমরা বাঁচব।
সাঈদ চৌধুরী
শ্রীপুর, গাজীপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন