পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক‚টনৈতিক সংবাদদাতা : মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার ইয়াংঘি লি তিনদিনের সফরে আজ সোমবার বাংলাদেশে আসছেন। তিনি কক্সবাজার সফর করে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করবেন এবং মিয়ানমারে তাদের ওপর দমন-পীড়নের তথ্য সংগ্রহ করবেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও ক‚টনীতিকদের সাথে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্পেসাল রোপোর্টিয়ার কমপক্ষে দুইদিন কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। প্রদত্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে ইয়াংহি লি বলেন, উত্তর রাখাইনে সেনা অভিযান বন্ধের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তাকে তারা সাধুবাদ জানান। কিন্তু জাতিসংঘের মিশন গত মাসে কক্সবাজার সফর করে দুইশজন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে যে সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতনের নানা ঘটনাবলির কথা জেনেছেন, তা বিস্মৃত হওয়ার নয়। ক্ষতিগ্রস্ত এই স¤প্রদায়ের সাথে কথা বললে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি আরো ভালো ধারণা পাবো।
এর আগে জাতিসংঘের এই স্পেশাল রেপোর্টিয়ার গত ৯ থেকে ২১ জানুয়ারি মিয়ানমার সফর করেন। সফরকালে তিনি আরাকান (রাখাইন) ও কোচিন রাজ্য পরিদর্শন এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচিসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। এরপর জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা এক কথায় প্রতিহিংসামূলক। সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পরিকল্পিত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈষম্যের শিকার।
লি বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচন মিয়ানমারের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকাক্সক্ষার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে সেই প্রত্যাশা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া বাড়ির কাঠামো আমি নিজ চোখে দেখেছি। সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রামবাসীরা নিজেদের বাড়িঘর নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়েছে। এ যুক্তি আমার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকালে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের একটি ভিডিও ক্লিপ জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ দেখেছেন। তার মতে, এটা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে।
লি বলেন, মিয়ানমারে জবাবদিহিতা ও ন্যায় বিচার অবশ্যই থাকতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়Ñ এ বিষয়টি জনগণকে নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সফর শেষে ইয়াংঘি লি একটি বিবৃতি দেবেন। এরপর আগামী ১৩ মার্চ জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে মিয়ানমারের ওপর প্রতিবেদন উত্থাপন করবেন। এতে পরিস্থিতির ওপর তার মতামতের পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের প্রতি সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।