Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেকেই পড়তে হয় -রিজভী

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খালেদা জিয়ার মামলার বিচারে প্রভাব বিস্তার করবে
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পরিকল্পনা প্রকাশ পেয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেকেই পড়তে হয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হচ্ছে তারা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র আঁটছেন।
গতকাল রোববার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহম্মেদ বলেন, ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও দলের শীর্ষ নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছেন। গত শুক্রবারও জার্মানির মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দোষী প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হবেই। সেখানে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আরও বলেনÑ জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ চলমান বিচারাধীন মামলাগুলো সবই ১/১১-তে সেনাসমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে করা। কিন্তু বাস্তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ বেশিরভাগই করা হয়েছে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। দুদককে ব্যবহার করে এই মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়েছে তাদেরই আমলে। এমনকি যে মামলাগুলো ১/১১ সরকারের সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল সেই মামলাগুলোও তারা পুনরায় চালু করেছে।
রিজভী আহম্মেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে ১/১১-এর সরকার যতগুলো মামলা দিয়েছিল তার তিনগুন মামলা দায়ের করেছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি ১৫টি মামলা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সেই মামলাগুলো হাওয়ায় উড়ে গেল কিভাবে? প্রধানমন্ত্রী তো আইন মোকাবিলা করে সে মামলাগুলো থেকে মুক্ত হননি। সেই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অনেক মামলাতেই স্বয়ং তার ভাই এবং তার দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক (আব্দুল জলিল) যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দেশবাসী ভুলে যায়নি। এর চেয়ে বড় সাক্ষী আর কী হতে পারে? কিন্তু ক্ষমতাসীন হয়েই শেখ হাসিনার মামলাগুলো প্রত্যাহার হয়ে গেল কোন যাদু মন্ত্রবলে? সুতরাং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলাই রাজনৈতিক এবং তা হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু বিএনপি চেয়ারপাসর্নকে হয়রানি করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলমান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন আইন, বিচার, প্রশাসন সবকিছুই তার করায়ত্বে, সেজন্য মামলা ও শাস্তি দেয়া তার ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করে। তিনি নির্ধারণ করেই দিয়েছেনÑ বিরোধী দল হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আর আদালতের মাধ্যমে সাজা হলেও মন্ত্রীরা তাদের মন্ত্রিত্ব বহাল রাখতে পারবেন।
রিজভী বলেন, তবে সারাদেশের মানুষ আওয়ামী ষড়যন্ত্রের সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। কারণ সরকার এসমস্ত চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল তৈরি করছেন শুধুমাত্র নিজেদের খাদের কিনার থেকে পুনরুজ্জীবনের ব্যর্থ চেষ্টার জন্য। হিংস্ররূপী অতি দানবে পরিণত হওয়া আওয়ামী দুঃশাসনে মানুষের বিপন্ন অস্তিত্ব¡কে আড়াল করার জন্যই ক্ষমতাসীন মহল বিএনপি ও দলের চেয়ারপার্সনকে নিয়ে মিথ্যাচারের কোরাশ গেয়ে যাচ্ছে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ