পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল বন্দরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ জ্বালানীবাহী নৌযান ‘এমটি এ্যঙ্করেজ’কে যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো ঘাটে নিয়ে আসা হলেও তরল জ্বালানী খালাশের বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি। শনিবার রাতের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ নৌযানটির দগ্ধ ৫ ক্রু’র মধ্যে ৪জনকেই ঐ রাতে ঢাকায় পাঠান হলেও তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। নৌযানটির বাল্কে সংরক্ষিত সাড়ে ৯ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল খালাশের লক্ষে যমুন অয়েল কোম্পানী, দমকল বিভাগ ও নৌযানটির মালিক কতৃপক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছে। নিরাপদে কত দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐসব জ্বালানি খালাশ করা যায়, সে লক্ষে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন যমুনা কতৃপক্ষ।
গত শনিবার রাত ৯টার পরে বরিশাল বন্দরের অপর পাড়ে চরকাউয়া খেয়া ঘাটের অদুরে কির্তনখোলা নদীর মাঝে নোঙর করা ‘এমটি এ্যাঙ্করেজ’ জাহাজটির ইঞ্জিনরুমসহ এর উপরী কাঠামো এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নৌযানটি চট্টগ্রামে যমুনার প্রধান ডিপো থেকে আড়াই লাখ লিটার পেট্রোল ও সাড়ে ৬ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে বরিশালের উদ্যেশে রওয়ানা হয়। পর দিন নৌযনটি বরিশাল বন্দরে যমুনা ডিপোর অদুরে কির্তনখোলায় নোঙর করে। শনিবার রাতে নৌযানটিকে যমুনার ডিপো ঘাটে ভেড়ানোর নির্দেশ দেয়ার পরে মূল ইঞ্জিন চালু করতেই এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের আগুন নৌযানটির ইঞ্জিন রুম থেকে রান্না ঘর হয়ে উপরিকাঠামোতে ছড়িয়ে পরে। এ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে নৌযানটি ইঞ্জিন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, গ্রীজার নাজমুল হোসেন, ইঞ্জিনকর্মী হুমায়ুন কবির, আবু সুফিয়ান ও বাবুর্চি সানায়ুল্লাহ গুরুরতর দগ্ধ হয়।
খবর পেয়ে বরিশল রিভার ফায়ার স্টেশন ও সদর ফায়ার স্টেশনের ৫টি ইউনিট দ্রæত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল কর্মীরা আহতদেরও দ্রুত বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। অগ্নিকান্ডে কারণ সম্পর্কে এখনো সুস্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও মূল ইঞ্জিনের বিস্ফোরণ থেকেই তার সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা লাভ করেছেন দমকলের দায়িত্বশীল মহল। বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জানিয়েছেন, ‘নৌযানটির মূল ইঞ্জিনের অদুরেই ক্রুদের রান্নাঘর। সেখানে এলপি গ্যাসে রান্না হত। রান্নায় ব্যবহৃত এলপিজি সিলিন্ডারটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে মনে হচ্ছে। দুপুরের পরে কেউই রান্না ঘর বা ইঞ্জিনরূমে প্রবেশ করেনি। ইতোমধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে প্রচুর গ্যাস নির্গত হয়ে ইঞ্জিন রূম পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে। রাতে যখন মূল ইঞ্জিন চালু করা হয় তখনই প্রবাহমান ঐ গ্যসের সংস্পর্ষে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে’ বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।