পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হবেই’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যে ‘খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিতে’ কোর্টকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আরো সতর্ক হওয়া উচিত বলেও মনে করে দলটি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির নেতারা এসব কথা বলেন।
গত শুক্রবার মিউনিখে জার্মান আওয়ামী লীগের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি সত্যি কোর্টের কাছে এভিডেন্স থাকে চুরি করেছে, তাহলে শাস্তি হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আদালতে প্রমাণ হলেই শাস্তি হবে, এমন বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর হওয়া উচিত নয়। কারণ এ কথা ৫ম শ্রেণীর একজন শিশুও বলতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, তা আদালত নয়, দিয়েছে সরকার। ১/১১’র সরকারের সময়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যতটা মামলা হয়েছিল, তার চেয়ে দ্বিগুণ মামলা ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তিনি প্যারোলে জামিন নিয়ে নির্বাচন করেছেন। ওই অবস্থায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মামলাগুলো থেকে তাকে দায়মুক্তি বা নিষ্কৃতি দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সচল করে। এ কারণে বলছি, সরকারের একটা উদ্দেশ্য আছে।
একই বিষয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবেই। একথা আদালতের হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একথা বলে, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে শাস্তি দিতে আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেন তাহলেই তো খালেদা জিয়াকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। রায়ের আগেই দলীয় ফোরামে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি (শেখ হাসিনা) এরকম বক্তব্য দেন, সেটা কী সঠিক হলো প্রশ্ন রাখেন তিনি।
২০০১-২০০৬ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির দুই মামলা এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে টাকা আত্মাসাতের অভিযোগে দুদকের করা এ মামলা দু’টি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।