Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মনোহরদীতে যুবলীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

১০ জন আহত : এমপি লাঞ্ছিত
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে সভাপতি পদের বিকল্প প্রস্তাবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। মনোহরদী-বেলাব এমপি নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনেই তৌহিদুল আলম নামে এক সভাপতি প্রার্থী তার প্রস্তাবক ও সমর্থকদেরকে পিটিয়েছে এমপি ও পৌর মেয়রের সমর্থকরা। দুই গ্রুপের মাঝখানে পড়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন এমপি নুরুল মজিদ হুমায়ূনও। গতকাল শনিবার বিকেলে মনোহরদী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার ছিল মনোহরদী উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বর্ষিক সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী-বেলাব এমপি নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান, যুবলীগের সভাপতি একরামুল হক, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী, মনোহরদী পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন।
প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতা পর্ব শেষ হওয়ার পর মনোহরদী উপজেলা যুবলীগের নতুন কমিটি গঠনের জন্য যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি সভাপতি পদে নাম আহŸান করেন। এ সময় জনৈক প্রস্তাবক যুবলীগের সাবেক আহŸায়ক ইঞ্জিনিয়ার এস এম ইকবাল আহমেদের নাম প্রস্তাব করেন। এরপর বদিউল আলম বিকল্প প্রার্থীর নাম প্রস্তাবের আহŸান করলে বড়চাপা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ডা. সোহেল, তৌহিদুল আলম নামে একজন যুবলীগ নেতার নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করার জন্য মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এসময় মঞ্চের মধ্যে থাকা স্থানীয় পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে মনজুরুল মাহমুদ সাদী প্রস্তাবকারীকে থাপ্পড় দিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। এ সময় তারা মঞ্চে থাকা সভাপতি প্রার্থী তৌহিদুল আলমসহ তার সমর্থকদেরকে মারধর শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে সারা সম্মেলনস্থলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় এমপি নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মঞ্চ থেকে নেমে এলে দুই গ্রæপের মাঝখানে পড়ে লাঞ্ছিত হন। পরে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যায়। সংঘর্ষকালে সম্মেলনস্থলের চেয়ার ভাঙচুর হয়। সারা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সম্মেলনস্থলে উপস্থিত নিরীহ যুবলীগের নারী ও পুরুষ কাউন্সিলররা দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। এতে ১০ যুবলীগ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মামুন নামে তৌহিদুল আলমের একজন সমর্থককে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৪:৩৪ এএম says : 1
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন আমি নিয়মিতো কবিতা লিখতে চাই, ঠিকানাটা জানালে খুশি হবো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ