পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মজলিসে শূরার অধিবেশনে ড. শাহেদী
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে স্বাগত ভাষণে সংগঠনের আমির ড. মওলানা মুহাম্মাদ ঈসা শাহেদী বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখে জাতীয় ঈদগাহের সমান্তরালে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন করে দেশের তওহিদী জনতার বিরুদ্ধে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে, পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আগে তা সরিয়ে ফেলার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, কোনো মহলের দাবি বা কারো সাথে সলা পরামর্শ ছাড়াই সুপ্রিম কোর্টের ছুটিকালীন সময়ে জনগণের আস্থার কেন্দ্রটিতে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন এ দেশের জাতীয় ঐতিহ্য, ধর্মীয় চেতনা ও বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত। সরকারের বোঝা উচিত যে, অতিসত্তর ঐ মূর্তি অপসারণ করা না হলে সামনে রমযান ও ঈদে লাখ লাখ মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে মূর্তি সামনে নিয়ে ঈদের নামায পড়বে না।
গতকাল শনিবার সকালে সংগঠনের পুরানা পল্টন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরা অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, মওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, তালাবার সাবেক নেতা মওলানা আবদুল কাদের খান, জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহফুজুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কাজী আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকা মহানগরী আমির মোস্তফা বশীরুল হাসান, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা কাজী আবু বকর সিদ্দিক।
ড. শাহেদী আরও বলেন, এয়ারপোর্টের সম্মুখস্থ সড়ক দ্বীপে লালন মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। হজ যাত্রীদের যাতে মূর্তির সামনে দিয়ে হজে যেতে না হয়, তার জন্য ঐ মূর্তি অপসারণ করা হয়েছিল সরকারী উদ্যোগে। আশা করি, হাইকোর্টের মাজারে শায়িত আল্লাহর ওলী, জাতীয় ঈদগাহ ও বৃহত্তর জনগণের আস্থার প্রতীক হাইকোর্টের সম্মান, অনুভ‚তি ও ভাবমর্যাদার কথা বিবেচনা করে সরকার অতিসত্তর মূর্তিটি অপসারণ করবেন এবং রমযান ও ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
ইসলামী ঐক্যজোট
সুুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণের দাবিতে আগামী বুধবার বিকাল ৪টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী ঐক্যজোট। গতকাল বাদ আসর লালবাগস্থ কার্যালয়ে জোটের মজলিসে শূরার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় ইসলামী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ বলেন, যে কোন ধরনের মূর্তি স্থাপন ও সংরক্ষণ ইসলামী সভ্যতা সংস্কৃতি ও মুসলমানদের ঈমান আকিদা পরিপন্থী। মসজিদের নগরী ঢাকায় সর্বোচ্চ আদালতের সামনে মূর্তি স্থাপনকে যারা ন্যায় বিচারের প্রতীক বলছেন তারা অন্ধকারের গলিতে বাস করছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রিক মূর্তি নয়, ন্যায় বিচারের প্রতীক হলোÑ আল-কোরআন আর মূর্তি হলো গজব ও ধ্বংসের প্রতীক।
ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা জসিমউদ্দিন, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।