পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমদানি ৫৪৫২ দশমিক ৯০ মিলিয়ন
ডলারের : রফতানি মাত্র ৬৮৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ভারতের কলকাতাস্থ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল গতকাল (শনিবার) চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময় করেন। বাণিজ্য প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট স্থাপন ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ যৌথ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধি দলে কনসালটেন্সী, শিক্ষা, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফাইন্যান্স, হেলথ, আইটি, ট্যুরিজম, শিপিং, লজিস্টিকস, স্কিলড ডেভেলাপমেন্ট ও ট্রান্সপোর্টেশন সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্টরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। বেঙ্গল চেম্বার প্রতিনিধিদল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আইটি খাতে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। চিটাগাং চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে বেঙ্গল চেম্বারের প্রতিনিধিদল নেতা আর এন লাহিরী ও রফিকুল হাসানসহ অন্যান্য সদস্য, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার, চিটাগাং চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, এইচআরসি’র সিনিয়র পরিচালক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ, ব্যবসায়ী নেতা তাহের সোবহান, বাফা’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. অহিদুল আলম, বিকেএমই’র সাবেক পরিচালক শওকত ওসমান, রিহ্যাব’র ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার, মাস্টার আবুল কাশেম, ড. হাসান মাহমুদ, কিশোয়ান’র নাজমুল ইসলাম মানিক, বর তাকিয়ার নিয়াজ মোর্শেদ, বিকডা সচিব রুহুল আমিন সিকদার বক্তব্য রাখেন।
চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি হয়েছে ৬৮৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা হয়েছে ৫৪৫২ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের। তিনি উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে স্থলবন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, অশুল্ক বাধা দূরীকরণ বাণিজ্য সুবিধা নিশ্চিতকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশী পণ্য ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে বিএসটিআই সার্টিফিকেট গ্রহণ এবং ভারতের বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশসমূহের নিকটবর্তী চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগের আহŸান জানান চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি।
প্রতিনিধিদল নেতা আর এন লাহিরী মনে করেন প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে পর্যটন, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, টেকনোলজিসহ অনেক সেক্টরেই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি এসব সুবিধা কাজে লাগাতে নিয়মিত বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের আহŸান জানান। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার খাদ্য, ফ্রুটস, ফিস প্রসেসিং, সিমেন্ট ইত্যাদি খাতে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করা সম্ভব বলে মনে করেন। পণ্য সমাহার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ভারতের বিশাল বাজারে বাংলাদেশী রফতানি বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।