পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভাষা আন্দোলনের আবহ তখন এদেশের মানুষের রক্ত কণিকায়। চারদিকে অন্যরকম এক জাগরণের ঢেউ। সেই ঢেউয়ে দোল খাচ্ছে বাংলার মানুষ। অবস্থাটা এতটাই চরমে যে, সেখান থেকে নিবৃত্ত করা অসম্ভব। ড. আনিসুজ্জামান ‘তারা’ কবিতায় লিখেছেন, ‘প্রতি ফালগুনে তারা ফিরে আসে/পত্র পুষ্পের মিতালিতে যেখানে বর্ণের সমারোহ/সেখানে নয়। হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের যোগে
উচ্ছ¡লিত/প্রাণ-প্রবাহের মোহনা যেখানে, সেখানে/তারা ফিরে ফিরে আসে।’
শিল্প সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যে, ভাষা আন্দোলনকে নিয়ে লেখা হয়নি। সবক্ষেত্রে নানারকম চক্রান্ত ছিল বর্বর পাকিস্তানিদের। তারা পূর্ব-বাংলা থেকে বাংলা ভাষাকে বিলীন করে জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চালায়। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ সফল হতে দেয়নি। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে সেদিন বাঙালিরা নিজের অধিকার আদায় করে নিয়েছিল। ভাষা-আন্দোলনের বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্ররা চ‚ড়ান্ত সংগ্রামে নামলেন বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারিতে। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে রাস্তায় নামেন ছাত্ররা। সেøাগানে-প্রতিবাদে উজ্জীবিত তরুণদের রুখতে শাসকগোষ্ঠী তার প্রশাসনযন্ত্র নিয়ে মাঠে নামে। আমতলায় সমাবেশ শেষে আইন পরিষদের দিকে ছাত্র-যুবারা এগিয়ে যেতে থাকেন। তাদের ওপর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছাত্রদের দুর্বার গতি থামাতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। মায়ের মুখের ভাষার মর্যাদা রাখতে তপ্ত রাস্তায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিলেন বরকত, রফিক, জব্বার, সালাম। আহত হন অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।