Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একচ্ছত্র পানির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন ছাত্রলীগের দুইনেতা

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঢাবি রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নীলক্ষেতের বাকুশাহ মার্কেট ও কাঁটাবনের বিভিন্ন মার্কেটে একচ্ছত্রভাবে পানির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ এসেছে ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হচ্ছেনÑ ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সভাপতি সোহনুর রহমান সোহান ও স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি হাফিজুর রহমান। তিনজন কর্মী নিয়োগ দিয়ে তারা এ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত এই দুই নেতা নীলক্ষেতের বাকুশাহ মার্কেট থেকে শুরু করে কাঁটাবন ঢাল পর্যন্ত একচ্ছত্রভাবে পানির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতি ফিল্টার পানি ১০ টাকা দরে কিনে ৩০ টাকা মূল্যে বিভিন্ন দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়। গত ১ ফেব্রæয়ারি থেকে ফিল্টার প্রতি পানি ৫ টাকা বৃদ্ধি করে ৩৫ টাকা করে দাম পরিশোধ করার জন্য হোটেল মালিকদের কাছে এক লিখিত নোটিশ দেয়া হয়। তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত এই নোটিশে প্রত্যেক হোটেলকে দৈনিক সর্বনিম্ন ৩০ ফিল্টার পানি চালানোর নির্দেশনা দেয় তারা। তাছাড়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কোন হোটেলকে ফ্রি পানি দেয়া হবে না এবং পানির বিল বকেয়া রাখা কিংবা কম দেয়া যাবে না। এমনকি কোন হোটেল লাইনের পানি চালাতে পারবে না। রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে যদি বিল পরিশোধ না করা হয় তাহলে হোটেলে পানি দেয়া বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।
নোটিশ পেয়ে হোটেল মালিকরা প্রতি ফিল্টার পানি ৩৫ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এক সপ্তাহ পানি সরবরাহ বন্ধ রাখে সোহান-হাফিজ। সর্বশেষ প্রতি ফিল্টার পানি ৩০ টাকা দামে গত সপ্তাহ থেকে পুনরায় হোটেলগুলোতে সরবরাহ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোহান-হাফিজ সরাসরি হোটেলগুলোতে এ ব্যাপারে কখনো যান না। তারা এ কাজে রাসেল, ইউসুফ ও করিম নামে তিনজন কর্মী নিয়োগ করেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সোহান ও হাফিজ বলেন, তারা এর সাথে জড়িত নয়। শিমুল নামে ছাত্রদলের এফ রহমান হলের যুগ্ম-আহŸায়ক তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এ নোটিশ পাঠিয়েছে বিভিন্ন দোকানে। তারা এব্যাপারে শিমুলের নামে থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান। সোহান বলেন, আমি ঐ সময় কক্সবাজার অবস্থান করছিলাম এব্যাপারে কিছুই জানি না। হাফিজ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানান যে এরকম একটা নোটিশে তার সাথে আমার নাম দিয়ে স্বাক্ষর সম্বলিত একটা কাগজ নীলক্ষেতে দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী এসএম জাকির হোসাইন বলেন, আমি এব্যাপারে তেমন কিছু জানি না। তবে এরকম কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেব।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, আমি শুনেছি এব্যাপারে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহগ ও ঢাবি ছাত্রলীগের সেক্রেটারী মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে এব্যাপারে জানার জন্য ফোন দেয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ