পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুরশাদ সুবহানী, পাবনা থেকে : ফারাক্কা ও তিস্তার উজানে বাঁধের ফলে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে। পদ্মা ও তিস্তা নদীতে পানির টান পড়ায় শুকিয়ে যাচ্ছে উত্তরের অনেক নদ-নদী। পাবনার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, যমুনা, আত্রাই, চিকনাই, বড়াল, ইছামতি ও মরা পদ্মায় পানি নেই। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পানির প্রবাহ চৈত্র-বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল মাসে) আরো কমে যাবে। নদ-নদীগুলো হয়ে পড়বে পানিশূন্য। ব্রহ্মপুত্র নদের পানিই যমুনা নদীর পানির মূল উৎস। সেই সাথে পাবনার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় সুজানগরের পদ্মানদী। পদ্মা এবং যমুনা নদীর পানি কমলে এর শাখাÑ হুরাসাগর, বড়াল, আত্রাই, চিকনাই নদীতে পানি কমে যায়। এবার শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই যমুনা নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় চর। পানি গিয়ে ঠেকেছে নদীর একেবারে তলদেশে। কোনো কোনো স্থানে হাঁটু পানি। ড্রেজিং করে বাঘাবাড়ি ঘাটে কার্গো চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যমুনা নদীতে পানি না থাকায় হুরাসাগর নদীতে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। এই হুরাসাগর নদীর উপর নির্ভর করে উত্তরের তিন জেলাÑ পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর। প্রথম পর্যায়ে পাঁচশত কোটি টাকা ব্যয়ে সেচ কার্যের জন্য ১৯৮৬ সালে বেড়া ও কৈটোলা পাম্প স্টেশন পাউবোর অধীন কার্যক্রম শুরু করে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচকার্য ও পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদনের লক্ষে কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে তিন জেলার প্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা হয়। এই প্রকল্পে কালক্রমে আরো আটশ’ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। এই প্রকল্পে মধ্যে প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ২৫ কিলোমিটার সেচ ক্যানেল, ১৪৫ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ক্যানেল, ১৭টি সøুইস গেট, ছয়টি রেগুলেটর, ৫৫টি ব্রিজ-কালভার্ট ও ৬২৯টি সেচ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এত অর্থ ব্যয়ে নির্মিত সেচ প্রকল্প পদ্মা ও যমুনা বেসিনে পানি না থাকায় কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সেচকার্য বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন করা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে এই প্রকল্প কোনো কাজে আসে না। কৃষক তাদের আবাদী জমি পানির অভাবে এই প্রকল্প এলাকার মধ্যে (যদিও তা আইনত নিষিদ্ধ) বাধ্য হয়ে নিজ উদ্যোগে অগভীর ও গভীর নলক‚প বসিয়ে সেচকার্য পরিচালনা করেন। নদীর পানি ব্যবহার করতে পারেন না। ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের জন্য ঘন ঘন গভীর ও অগভীর নলক‚প বসিয়ে পানি উত্তোলনের ফলে সেচকার্য চললেও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে ভূ-গর্ভে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে দ্রæত। মাটির নীচে শীলাপাথরের উপর থেকে পানি কমে যাওয়ায় ভ‚মিকম্পের আশঙ্কা বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।