স্টাফ রিপোর্টার : সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে দাম বেড়েছে আলু, করলা ও বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম। সেই সাথে গোশত ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে মুরগির দামও বেড়েছে কয়েকগুন। পাইকারী বাজারে দাম বাড়ানোর কারণে খুচরা বাজারে এসব পণ্য আট থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট, জিগাতলা ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি আলু ১৬ টাকা করে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বেগুন আট টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা, করলা ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, শসা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, টমোটো পাঁচ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া ঝিঙা ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা, কচুর লতি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা ও ঢেঁড়স ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লালশাক, ডাটা ও পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
তবে পেঁয়াজের (দেশি-ভারতীয়) দাম এক-দুই টাকা কমে রকমভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ ও ২৫ টাকায়। আদার দাম কমে ৭০ টাকা, মসুর ডাল ১২৫ টাকা, বিদেশি মোটা দানা ৯০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল (বোতলজাত) তিন টাকা কমে ১০২ টাকা, খোলা তেল (মানভেদে) ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাজির চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫২ টাকা ও মোটা চাল (স্বর্ণা) ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগি আকারভেদে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গাবতলী গরুর হাটের ইজাদারদের অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৩ ফেব্রæয়ারি থেকে গরুর গোশতের দোকান বন্ধ রাখার কারণে বাজারে গরুর গোশতের পাশাপাশি খাসির গোশতও পাওয়া যাচ্ছে না।