পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোস্তফা মাজেদ, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে এবার সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই আকরাম হত্যার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তার ৫ বোন। শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসআই আকরামের সেজো বোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বড় বোন রেহানা আলম গিনি, মেজ ফেরদৌস আরা চিনি, সেজবোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি, শাহনাজ পারভীন রিপা ও ছোটবোন শামীমা নাসরীন মুক্তি। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, খুলনায় বাবুল আক্তারের বাবা পুলিশে ও নিহত পুলিশ কর্মকর্তা আকরামের স্ত্রী বন্নীর বাবা বিআরডিবিতে চাকরি করতেন। থাকতেন পাশাপাশি বাসায়। সেই সুবাদে বাবুল-বন্নীর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি আকরামের সঙ্গে বিয়ে হয় বন্নীর। অন্যদিকে পারিবারিকভাবে মিতুকে বিয়ে করেন বাবুল। কিন্তু বিয়ের পরও বাবুল আর বন্নীর মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাদের প্রেমের বিষয়টা জানাজানি হয় বিয়ের পর। এরই মাঝে আকরামের একটি সন্তান হয়। সন্তান জন্মকালে বন্নী যখন হাসপাতালে ছিলেন তখন প্রতিদিনই এসপি বাবুল আক্তার, ভাই সাবু ও তার বোন লাবনি হাসপাতালে দেখাশুনা করতেন। হাসপাতাল থেকে রিলিজ করার পর বন্নীকে বাবুল আক্তারের বোন লাবনির বাসায় নিয়ে তোলা হয়। বিভিন্ন সময় বন্নীর সাথে যোগাযোগ করতো বাবুল আক্তার। এসআই আকরাম বিদেশে মিশনে থাকা অবস্থায় ঘন্টার পর ঘন্টা বাবুল আক্তারের সাথে কথা বলতো বন্নী। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আকরামকে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা আসার পরামর্শ দেয় বন্নী। কিন্তু সে বাবুলের সঙ্গে কূটকৌশল করে সন্ত্রাসী দ্বারা পথিমধ্যে আটকে রাখে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পিছনে গুরুতর জখম করে। এরপর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়দাহ নামক স্থানে মহাসড়কে মুমূর্ষু অবস্থায় আকরামকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আকরামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ফরিদপুর ও পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। জান্নাত আরা আরও অভিযোগ করেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন আকরামের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। এই অবস্থায় ২য় বার হত্যার উদ্দেশ্যে বন্নী স্যুপের সাথে বিষ মিশিয়ে আকরামকে খাওয়ায়। এরপর ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ তে আকরাম মারা যায়। সেখান থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার স্ত্রী বন্নী আকরামের লাশ গ্রহণ করে। তখন পুলিশ ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে। লাশ ঝিনাইদহে আনার সময় বন্নী না আসার জন্য নানা প্রকার ভনিতা করে। পরে ঝিনাইদহে এনে দাফন করা হয়। বন্নীর বাবা একমাত্র জামাইয়ের জানাযায় অংশ না নিয়ে বন্নীসহ পরিবারের অন্যদের নিয়ে বাবুল আক্তারের মাগুরার বাড়ীতে গিয়ে ওঠেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসকরা বলেছিলেন আকরামের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তখনই সন্দেহ হয় এটি হত্যা। কিন্তু ওই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এছাড়া তৎকালীন পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। আলতাফ হোসেন এখন সাতক্ষীরায় কর্মরত। পরবর্তীতে ১৯/০১/২০১৫ তারিখে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে রিনি আরো অভিযোগ করেন, তার ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় বন্নীর সাথে তার ফুফাতো ভাই সাদিমুল ইসলাম মুন উপস্থিত ছিল। তিনি বলেন, মুনের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী। সে ঐ রাতে কিভাবে সেখানে আসলো। যে কারণে মুন আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরে লাশ পুনরায় তুলে ময়না তদন্ত করা হয়। যে রিপোর্টে প্রভাবিত করে বাবুল আক্তার। সাংবাদিক সম্মেলনে পাঁচ বোন সমস্বরে ভাই হত্যার বিচার দাবী করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।