পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, প্রতিটি মুসলমানকে কালেমার দাওয়াত নিয়ে কাজ করতে হবে। কালেমার দাওয়াতের মাধ্যমেই নামাজের কথা আসবে, আসবে মহান আল্লাহ’র হুকুমতের কথা। তিনি বলেন, কালেমা পড়বেন, নামাজ কায়েম করবেন, সুরা-কেরাত, রুকু, সিজদা সহি-শুদ্ধ করে নামাজ আদায় করতে হবে। এক ওয়াক্ত নামাজও কাজা করা যাবে না। এক ওয়াক্ত নামাজের জন্য ২ কোটি ৮৮ লক্ষ বছর দোযখের আগুনে জ্বলতে হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে শিবপুর উপজেলার আল-জামিয়াতুল ইসলামীয়া ইসলামপুর মাদরাসার ২ দিন ব্যাপী ২৩ সালা দস্তারবন্দী জলসায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। জলসায় সভাপতিত্ব করেন মাদানীনগর মাদরাসার মুহতামিম পীরে কামালে হাফেজ মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দিপী।
আল্লামা আহমদ শফী বলেন, নিজের পরিবার থেকে প্রথমে নামাজ শুরু করতে হবে। শিশুদেরকে নামাজের আদেশ দিতে হবে। নামাজের জন্য তাদেরকে শাসন করতে হবে। নামাজের আদেশ ও শাসনের মাধ্যমে শিশুরা নামাজি হয়ে গড়ে উঠবে। নামাজ এমনভাবে আদায় করতে হবে যেন আল্লাহ নামাজিকে দেখেন এবং নামাজি যেন ভাবে তিনি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন এবং তিনি যেন আল্লাহকে দেখেন। শুধু তাই নয়, পরকালকে সামনে রেখে নামাজ আদায় করতে হবে। আর এভাবে নামাজ আদায় করলেই ইমান মজবুত হবে। নামাজের প্রতি একাগ্রতা বাড়বে। ইসলামের জন্য যেকোন ত্যাগ শিকারে নিজেকে প্রস্তুত করা যাবে। তিনি বলেন, শহর, বন্দর ও গ্রামের প্রতিটি মহল্লায় মক্তব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এসব মক্তবের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদেরকে আরবি শিক্ষা দিতে হবে। গ্রাম্য মক্তব হচ্ছে এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। মক্তবের মাধ্যমেই এদেশের মুসলমানরা কুরআন হাদিস থেকে শিক্ষা নিয়েছে। কাজেই সর্বপ্রথম মক্তব প্রতিষ্ঠা ও মক্তবে পড়াশুনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এর আগে সকাল ১১টার দিকে আল্লামা আহমদ শফী চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারযোগে শিবপুরের ইসলামপুর গ্রামে পৌছলে স্থানীয় আলেম ওলামাগণসহ হাজার হাজার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানায়। আল্লামা আহমদ শফী আগমনের খবর পেয়ে সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ ইসলামপুর গ্রামে গিয়ে জমায়েত হয়। আল্লামা শফীর আগমনকে কেন্দ্র করে ইসলামপুর ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে ব্যাপক আনন্দ দেখা দেয়। গ্রামের মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করে। বাড়িতে উন্নতমানের রান্নাবান্না করে। আশেপাশের গ্রাম ও বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামপুর গ্রামের আত্মীয়-স্বজনরা তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে ভিড় জমায়। প্রায় ঘণ্টাকাল বক্তৃতা করেন আল্লামা আহমদ শফী। দীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি নামাজ ও গ্রামে-গঞ্জে মক্তব প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেন। গ্রামের মানুষ অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে আহমদ শফীর বক্তব্য শ্রবন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।